কলকাতা, 12 এপ্রিল: রামেশ্বরম বিস্ফোরণকাণ্ডের দুই অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে কাঁথি থেকে ৷ তা নিয়েই শুক্রবার শিল্প ভবনে সাংবাদিক সন্মেলনে সরব হলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা ৷ এই বিস্ফোরণকাণ্ডে কাঁথি যোগ নিয়ে নাম না করে এটি নির্দিষ্ট পরিবারকে নিশানা করেন তিনি । এদিন তিনি বলেন, এই ঘটনাটা কাঁথিতে ঘটায় বিজেপি কিছুটা অবাক হয়ে গিয়েছে । এই ঘটনা কাঁথিতেই বা কেন! ওদের কে আশ্রয় দিয়েছে । ওখানে আশ্রয় কে দিয়েছে । ওখানে কোন পরিবার আছে।" এখন কীভাবে এই ঘটনায় প্রলেপ দেওয়া যায় সেই চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি মন্ত্রীর।
মন্ত্রীর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় এজেন্সি রাজ্য পুলিশের প্রশংসা করছে ৷ তদন্তের গতি ঘুরিয়ে দিতে একাধিক প্রশ্ন তুলছে বিজেপি । অপরাধীদের ধরতে এনআইএ-কে সাহায্য করেছে রাজ্য পুলিশ ৷ পুলিশের এই কৃতিত্বকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। এদিন কাঁথি থেকে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও। এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, "আজ রাজ্য পুলিশকে এড়িয়ে শুধুমাত্র এনআই-এর সাফল্যের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তব হল রাজ্য পুলিশকে এড়িয়ে এনআইএ কখনই এই কাজ করা পারতো না। আর যেহেতু এর সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা জড়িয়ে তাই এই নিয়ে কোন রাজনীতি করতে চাই না।"
তৃণমূলের এই নেতা কুণাল ঘোষ আরও জানান, দেশবিরোধী জঙ্গি-সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে রাখার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। বেঙ্গালুরুর অভিযুক্তরা কোথায় কোথায় যাচ্ছে ? কোথায় কোথায় লুকোচ্ছে এই তথ্যগুলো সেন্ট্রাল এজেন্সিকে খুঁজে বের করতে হবে। কারণ রামেশ্বরম ক্যাফে বেঙ্গালুরুতে ৷ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের আওতায় নেই । তাই কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনআইএ রাজ্য পুলিশ তথ্য সরবরাহ করলে রাজ্য পুলিশ সহায্য করবে ৷
এএনআই রাজ্য পুলিশকে তথ্য সরবরাহের 2 ঘণ্টার মধ্যে যৌথ অপারেশন চালিয়ে অভিযুক্তদের ধরেছে । মনে রাখতে হবে এদের একা এনআইএ ধরেনি । এরপরই ধৃত দু’জনকে কাঁথিতে পাওয়া যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছেন কুণাল । তিনি বলেন, "এদের কাঁথিতে পাওয়া গেল কেন। সেখানে কোন পরিবারের জায়গা । তাদের কাছ থেকে আশ্রয়ের কোনও গ্যারান্টি পেয়েই কি, তারা সেই জায়গায় ঢুকেছিল। এগুলিও তদন্তে আনা প্রয়োজন।"
আরও পড়ুন: