কলকাতা, 11 ফেব্রুয়ারি: বিধানসভায় হইচই । মোবাইল হারিয়েছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ! সংবাদ মাধ্যমকে রীতিমতো ঘটা করে মোবাইল হারানোর কথা জানান বিধায়ক । বিধানসভার মার্শাল তথা নিরাপত্তারক্ষীরা সিসিটিভি পর্যন্ত খতিয়ে দেখেন । কিন্তু কোথাও সেই মোবাইল পাওয়া যায়নি । বাধ্য হয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হন বিধায়ক ।
যখন এই ঘটনা ঘটছে, তখন সংবাদমাধ্যমের একাংশ প্রশ্ন তোলেন যে, বিধানসভার এত নিরাপত্তা, সিসিটিভির এত নজরদারি থাকার পরও একজন বিধায়কের মোবাইল হারিয়ে গেল কীভাবে ! তাহলে কি বিধানসভায় নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি আসলে ফস্কা গেরো ! তবে এরপর যা ঘটল তাতে মুখ পুড়ল বিধায়কেরই । পুলিশ মোবাইল ট্র্যাক করে দেখতে পায়, তাঁর দামি আইফোনটি রয়েছে বিধায়ক হস্টেলেই । এই খবর পাওয়ার পর তড়িঘড়ি বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান ভরতপুরের বিধায়ক । শেষ পর্যন্ত পুলিশ এবং বিধায়ক উভয়ের উপস্থিতিতে মোবাইলটি উদ্ধার হয় বিধায়কের বালিশের তলা থেকেই ।
প্রথমে সংবাদ মাধ্যমকে ঘটা করে মোবাইল হারানোর খবর জানালেও মোবাইল উদ্ধারের খবর জানাতে গিয়ে কিছুটা লজ্জায় পড়ে যান বিধায়ক । ইতস্তত ভাবে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, মোবাইল পাওয়া গিয়েছে । সেটি রয়েছে এমএলএ হস্টেলেই ।
প্রসঙ্গত, যখন বিধায়কের মোবাইল হারানো নিয়ে হইচই চলছে, তখন গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজাকে প্রশ্ন করা হয় । তিনি বলেন, "ভালো করে খুঁজে দেখুন বিধায়ক । তারপর যদি মোবাইল না পাওয়া যায় কথা বলুন অধ্যক্ষের সঙ্গে ।" যদিও অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলার আর প্রয়োজন হয়নি ।
এরপরই এক তৃণমূল বিধায়ক বলেন, "মোবাইল হারালে এভাবে সংবাদমাধ্যমকে জানানোর আগে সতর্ক হওয়া উচিত ছিল ভরতপুরের বিধায়কের । সবকিছুতে সংবাদ মাধ্যমের নজর টানার চেষ্টা থাকলে এরকমই হয় ।"
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বলেন, "একজন দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন বিধায়কের কাছ থেকে এই ধরনের আচরণ কাম্য নয় । দীর্ঘদিন ধরে আমি বিধানসভায় আছি । বহু ক্ষেত্রে হাতের গুরুত্বপূর্ণ মোবাইলটি ফেলে চলে এলেও বিধানসভার নিরাপত্তারক্ষীরা আমাদের তা ফিরিয়ে দেন । সেই জায়গা থেকে এমন ঘটনা হতাশাজনক । এই নিয়ে আলোচনা না করাই ভালো ।"