জলপাইগুড়ি, 19 এপ্রিল: তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে ধস্তাস্তিতে জড়িয়ে পড়লেন বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় ৷ জলপাইগুড়ির ভোট পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বেরিয়েছিলেন বিধায়ক ৷ সে সময় শিলিগুড়ি পৌরনিগমের 33 নম্বর ওয়ার্ডের ধুন্ধুমার বেধে য়ায় ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকার একটি বুথ চত্বরে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের সঙ্গে বিজেপির সংঘর্ষ হয়। হামলার সময় সেখানেই ছিলেন বিধায়ক ৷ তাঁকে ঘিরে দুপক্ষের কর্মীদের মধ্যে টানাহেঁচড়া শুরু হয় ৷ ঘটনা ঘিরে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয় । পরে পুলিশের সঙ্গেও ধ্বস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন শিখা চট্টোপাধ্যায়-সহ বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
শুক্রবার সকাল থেকেই নিজের বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন বুথে যাচ্ছিলেন শিখা ৷ কিন্তু, 301 নম্বর বুথে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তোলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে ৷ বিষয়টি তাঁর নজরে আসতেই প্রতিবাদ করেন তিনি ৷ শিখার অভিযোগ, নির্বাচনী বিধিভঙ্গের কারণ দেখিয়ে তাঁকে বাধা দেয় পুলিশকর্মীরা ৷ ঘটনায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা ৷ তৃণমূলের পালটা অভিযোগ, বুথে ঢুকে ইচ্ছেকৃত ঝামেলার সৃষ্টি করেছেন বিজেপি বিধায়ক ৷
শিখার অভিযোগ, বুথ থেকে ফেরার পথে তাঁর গাড়ির সামনে চলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী ৷ কোনও মতে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি ৷ এরপর নিজের কার্যালয়ে বসে তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূলের নির্দেশে পুলিশ এই কাজ করছে । সকালে পুলিশ ফোন করে তাঁকে বুথে যেতে মানা করেছিল বলেও অভিযোগ করেন বিজেপি বিধায়ক । মেয়র গৌতম দেবের নির্দেশে পুলিশ একাজ করছে বলে অভিযোগ করেন শিখা ৷ এদিকে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রুট মার্চ শুরু করে পুলিশ ৷
শুক্রবার সকালে শান্তিনগর বৌবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের 46 নম্বর বুথে ভোট দেন শিখা ৷ ভোট দিয়েই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির এই বিজেপি বিধায়ক । তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অশান্তি সৃষ্টি করার অভিযোগ তোলেন তিনি । বিজেপির দলীয় কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া, বেশ কয়েক জায়গায় বুথ এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি । সেইসঙ্গে শিখা জানান, এই নির্বাচনে দলের জয় নিয়ে আশাবাদী তিনি ৷
আরও পড়ুন: