ভাঙড়, 9 জানুয়ারি: ভাঙড়ে আবার নতুন করে অশান্তি ৷ ফের আরাবুল বনাম শওকত ৷ বৃহস্পতিবার অশান্তি শুরু হয় ভাঙড়ের 2 নম্বর বিডিও অফিসে যখন আরাবুল ইসলাম পৌঁছন ৷ তখন শওকত মোল্লা ঘনিষ্ঠ আহসান মোল্লার অনুগামীরা আরাবুল ইসলামকে ঘিড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ৷ এরপর আরাবুল এবং শওকত মোল্লার অনুগামীরা একে অপরের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় চলতে থাকে ৷ শুরু হয় গণ্ডগোল।
অশান্তির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ ও পোলেরহাট থানার পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের পক্ষ থেকে লাঠিচার্জ করে আরাবুল মোল্লা এবং শওকত মোল্লার অনুগামীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় পুরো এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী।
এবিষয়ে শওকত মোল্লার অনুগামী পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমির কর্মাধ্যক্ষ আহসান মোল্লা বলেন, "আমি ভাঙড় 1 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমির কর্মাধ্যক্ষ এবং সরকারি দলিল লেখক। আজ দু'নম্বর ব্লকে এসে আমার কাজ শেষ করি ৷ আগামী 19 জানুয়ারি ভগবানপুর অঞ্চলে কর্মী বৈঠক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একটি বৈঠক হওয়ার কথা। তা নিয়েই আলোচনা ছিল ৷ এদিন যখন বিডিও অফিসে আসি সেই সময় আরাবুল এবং আরাবুলের ছেলে আমাকে গালিগালাজ করে।"
তিনি আরও বলেন, "আমাকে মারার জন্য উদ্যোগী হয় আরাবুলের অনুগামীরা। কলকাতা পুলিশকে ধন্যবাদ, আমাকে উদ্ধার করেছে ওই পরিস্থিতি থেকে ৷ না-হলে আমাকে প্রাণে মেরে দিত ওরা। আমরা কোনও লোকজন নিয়ে আসেনি, বিডিও অফিস চত্বরে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে তাতে সমস্তকিছু দেখা যাবে ৷"
যদিও বাহারুল ইসলাম, আরাবুল ইসলামের ছেলে এবং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দাবি করেন, সমস্তকিছুই ঠিকঠাক চলছিল ৷ ভাঙড় 1 নম্বর ব্লক থেকে কিছু বৈরাগত এসে আমাদের গালিগালাজ করেছে। আমাদের কর্মী-সমর্থকেরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বহিরাগতরা এসে এখানে যত কুখ্যাত দুষ্কৃতী রয়েছে তাদের সঙ্গে এলাকায় অশান্তি করার চেষ্টা করছে। আমরা প্রশাসনকে সমস্ত জানিয়েছি এবং প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা দিচ্ছে।
এবিষয়ে সাবিরুল ইসলাম, শওকত মোল্লার অনুগামী এবং ভাঙড় কলেজের ছাত্র পরিষদের সভাপতি বলেন, "আমরা বহিরাগত নয়। ভাঙড় 2 নম্বর ব্লক এবং ভাঙড় বাজার অবিভক্ত ভাঙড় । এটা অন্য রাজ্য কিংবা অন্য রাষ্ট্র তা নয়, আমাদের প্রয়োজন থাকলে আমরা আসতেই পারি, এটার কৈফিয়ত কাউকে দেব না। ভাঙড় 2 নম্বর ব্লক এটা কি আরাবুল ইসলামের পৈতৃক সম্পত্তি ? এখানে এলে কি আমাদের ওনাকে জবাবদিহি করতে হবে। উনি একজন ক্রিমিনাল ৷ আরাবুল ইসলাম এখানে গুন্ডামি করছে।"