মালদা, 13 মার্চ: মালদা জেলায় এখনও ফ্যাক্টর গণিখান চৌধুরী। আরও একবার তা পরিষ্কার হল তৃণমূলের দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর মন্তব্যে। মালদায় পা-রেখেই গণিখানের আমলে উন্নয়নের কথা উঠে এল রাইহানের গলায়। উঠে এল বিজেপি'র সাম্প্রদায়িক তাসের কথাও। এনআরসি-সিএএ'কে হাতিয়ার করেই যে তিনি ভোট যুদ্ধে নামতে চলেছেন, তা সাফ জানান ঘাসফুলের দক্ষিণ মালদার লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী।
গত রবিবার ব্রিগেডের ময়দান থেকে দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের 42টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। উত্তর মালদা আসনের ক্ষেত্রে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা থাকলেও দক্ষিণ মালদায় শাসকদলের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আঁচ পায়নি কেউই। দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন শাহনওয়াজ আলি রায়হান। বুধবার সকালে গৌড় এক্সপ্রেসে মালদায় এসে পৌঁছন তিনি।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেই প্রচার শুরু করব। মনোনয়ন দাখিলের জন্য নির্বাচন ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছি। গৌড়বঙ্গের মাটি সম্প্রীতির মাটি। আমি এখানেই বড় হয়েছি। যে কোনও অনুষ্ঠান হোক কিংবা টিফিন ভাগাভাগি করে খাওয়া কোনওসময় হিন্দু-মুসলিম ভাবিনি। বিজেপি এখানে এসে সম্প্রীতির কার্ড খেলতে শুরু করেছে। এটা আটকানো আমার লক্ষ্য। আমি লন্ডনের মাটিতে এনআরসি-সিএএ'র প্রতিবাদে স্লোগান তুলেছিলাম। তা ছিল বিজেপির বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু ওরা আমাকে দেশদ্রোহীর তকমা দিয়েছে। আমি আরও বেশি করে বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান তুলব। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব। মালদাকে রাজ্যের প্রথম সারির জেলায় পরিণত করব।"
শাহনওয়াজ আরও বলেন, "গণিখান ছিলের মালদার রূপকার। কিন্তু তাঁর পরবর্তী সময়ে মালদা জেলার মানুষের প্রয়োজনের কথা সংসদে উঠে আসেনি। মালদা জেলার সাংসদরা দিল্লিতে বেড়াতে গিয়েছিলেন, ঘুমিয়েছিলেন। কিন্তু জেলার মানুষের প্রয়োজনের কথা তুলে ধরেননি।" উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের ঝুলিতে এসেছিল 4 লক্ষ 44 হাজার 270টি ভোট। সেখানে বিজেপি ও তৃণমূলের প্রাপ্য ভোট ছিল 4 লক্ষ 36 হাজার 48টি ও 3 লক্ষ 51 হাজার 353টি। স্বভাবতই বলা যেতে পারে গত লোকসভা নির্বাচনেও মালদা জেলায় গণি মিথ খানিকটা হলেও কার্যকর ছিল।
আরও পড়ুন: