কলকাতা, 24 জানুয়ারি: আসন্ন প্রজাতন্ত্র দিবসকে কেন্দ্র করে যাতে শহরের কোনওরকম অপ্রতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য তৎপর কলকাতা পুলিশ । শহরের আনাচে-কানাচে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে তল্লাশি ৷ জানা গিয়েছে, প্রজাতন্ত্র দিবসে কলকাতাজুড়ে থাকছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা । ওই দিন প্রায় দেড় হাজার পুলিশকর্মী রাস্তায় থাকবেন ।
নতুন বছর শুরু হওয়ার সময় থেকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে লালবাজারকে। গত দু'বছরের তুলনায় নতুন বছরে পথ দুর্ঘটনার হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ পাশাপাশি, নতুন বছরের গোড়ার দিকে ভারতীয় জাদুঘর বোমার সাহায্যে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ই-মেলও আসে লালবাজারে । সেই সব ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার প্রজাতন্ত্র দিবসে লালবাজারের উপর বিশেষ নিরাপত্তার চাপ রয়েছে । কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, "এবারে আমরা সাদা পোশাকের পুলিশ রাস্তায় বেশি পরিমাণ নামানোর চেষ্টা করছি। পাশাপাশি, শহরের একাধিক শপিংমল এবং যে সকল স্থানে মানুষ ভিড় জমান সেখানে বাড়তি নজরদারি চালাচ্ছি ।"
নিরাপত্তার বিষয়টি প্রতিবারের মতো এবারও কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হাতেই থাকছে । শহরজুড়ে মোট 24টি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি হয়েছে। থাকছে ক্যুইক রেসপন্স টিম, কলকাতা পুলিশের কমব্যাট বাহিনী ও র্যাফ । রেড রোডে কুচকাওয়াজের মহড়া শুরু হয়েছে ৷ ফলে সেখানে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। কুচকাওয়াজ চলাকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে কোনও অবনতি না হয় তার জন্য হেস্টিংসের কাছ থেকে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে ।
বছর কয়েক আগে এই প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের সময় এক ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল শহর কলকাতা। ফোর্ট উইলিয়ামের পশ্চিম গেটের কাছে রেড রোডের উপরে থাকা ব্যারিকেড ভেঙে ধেয়ে আসা অডির ধাক্কায় প্রাণ যায় বায়ুসেনার আধিকারিক অভিমন্যু গৌড়ের। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছে লালবাজার।
লালবাজার সূত্রের খবর, শহরের মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বারার আশপাশে পুলিশ বিশেষভাবে টহল দিচ্ছে । এছাড়াও শহরের পার্কগুলিতে কলকাতা পুলিশের স্নিফার ডগ এনে ঘোরানো হচ্ছে । সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে রাজ্য পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা একাধিক যুবককে গ্রেফতার করেছেন । তারা হোয়াটসঅ্যাপ খোলার জন্য ওটিপি দিয়ে একাধিক পাকিস্তানিকে সাহায্য করত বলে অভিযোগ । এমনই আবহে প্রজাতন্ত্র দিবসের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছেন না লালবাজারের কর্তারা।
আরও পড়ুন :