মেদিনীপুর ও কলকাতা 12 জানুয়ারি: স্যালাইন-কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য ৷ মেদিনীপুরের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রসূতিদের নিয়ে আসা হল কলকাতায় ৷ রবি-সন্ধ্যায় লাইফ সাপোর্ট দিয়ে গ্রিন করিডর করে মেদিনীপুর থেকে তিনটি অ্যাম্বুলেন্সে 3 প্রসূতিকে কলকাতার এসএসকেএমে নিয়ে আসা হয়।
মেদিনীপুর থেকে গ্রিন করিডোর করে নিয়ে আসার পথে বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন এক প্রসূতি । রাস্তাতেই অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে তাঁর চিকিৎসা করা হয়েছে বলে খবর । এই মুহূর্তে দু'জনকে এসএসকেএম হাসপাতালের সিসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছে। একজন ভর্তি রয়েছেন আইটিইউ-তে। হাসপাতালের তরফে তৈরি হয়েছে 5 সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড। জানা গিয়েছে, এদিন রাত থেকেই এই তিনজনের চিকিৎসা শুরু করবেন চিকিৎসকরা।
ঘটনার সূত্রপাত গত বুধবার সন্ধ্যায় ৷ সেদিন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগে পাঁচ প্রসূতির সিজার করা হয়। এই অপারেশনে সুস্থ সন্তানও জন্ম দেন তাঁরা। কিন্তু অপারেশনের কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই ওই পাঁচ প্রসূতির শারিরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন ও ওষুধপত্র ব্যবহার করা হয়েছে ৷ শুক্রবার সকালে মামনি রুই দাস নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয় ৷ সেদিন রাতেই সিজারের পর পুত্রসন্তানের জন্য দিয়েছিলেন তিনি। এক কন্যাসন্তানও রয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে চার প্রসূতি মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের আইসিইউতে। গতকাল, শনিবার রাজ্য মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা রিপোর্ট দেওয়ার পরই তড়িঘড়ি প্রশাসন থেকে গ্রিন করিডর এবং লাইফ সাপোর্ট, অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়। এদিন লাইফ সাপোর্ট যুক্ত তিনটি অ্যাম্বুলেন্স করে অসুস্থ, মাম্পি সিং (23), নাসরিন খাতুন (19) ও মিনারা বিবি (31)-কে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায়।
এদিন 3টি অ্যাম্বুলেন্সেই ডাক্তার এবং নার্স থাকার ব্যবস্থা করেছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও রোগীর পরিবারের লোকজনদের নিয়ে যাওয়ার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি আলাদা গাড়ির ব্যাবস্থা করা হয়েছে। অন্য একজন প্রসূতির অবস্থা গুরুতর নয় ৷ তিনি মেদিনীপুর মেডিক্যালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৷