চুঁচুড়া, 10 এপ্রিল: জীবনে প্রথম রাজনীতির ময়দানে পথ চলা। এই জগতে তিনি নতুন হলেও সিনেমা জগতে রাজনীতি কম ছিল না, খোলা আলোচনায় মুখ খুললেন হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় মজার খোরাকে পরিণত হয়েছেন ৷ তিনিও বিষয়গুলিকে হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন ঠিকই কিন্তু আক্ষেপের সুর শোনা গিয়েছে সোশাল মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে করা মন্তব্য নিয়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ ও মানুষের কাজ করার জন্য তৃণমূল প্রার্থী হওয়া বলে দাবি রচনার।
রচনা তাঁর নিজের জীবনের কথা বলতে গিয়ে বলেন, "অত্যন্ত মধ্যবিত্ত ঘর থেকে উঠে আসা বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে ৷ উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে সিনেমা জগতে চলে আসা। অত্যন্ত পরিশ্রম করে কাজ করেছি । এমনকী বাংলাদেশেও সিনেমা করে জনপ্রিয়তা পেয়েছি ৷" তাঁর মতে, "শুধু সিনেমা জগত নয়, যে কোনও পেশায় টিকে থাকতে গেলে পরিশ্রম করে যেতে হয়। যদি লড়াই না করা যায় চেয়ার থাকবে না। সিনেমা জগতেই রাজনীতি হয়। ডিরেক্টরের পছন্দের নায়িকা না হলে সিনেমায় সুযোগ পাওয়া যায় না। অনেক ছবিতে এমন হয়েছে ঋতুপর্ণা কাজ করেছে কোথাও আমি কাজ করেছি।"
বুধবার চুঁচুড়া একটি জায়গায় সাংবাদিকদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করে মনের কথা বলেন তৃণমূলের প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই উঠে আসে অভিনেত্রী জীবনের একাধিক লড়াইয়ের কথা। ব্যক্তিগত জীবন ও নানা মানুষের সঙ্গে সম্পর্কের কথা। উঠে আসে তাঁর নির্বাচনী মন্তব্য নিয়ে যে মিম হয়েছে তা নিয়েও। রচনা জানান, মিম দেখে আনন্দ পান ঠিকই কিন্তু অপর দিকে যেভাবে সোশাল মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছে সে বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, "আমি এতো দিন ধরে সম্মানের সঙ্গে কাজ করেছি। সেই সম্মানের কথা কেউ কিছু না ভেবেই যা মুখে আসছে তাই বলে যাচ্ছেন সোশাল মিডিয়ায় ৷"
অভিনেত্রী রচনা দীর্ঘদিন ধরেই সিনেমা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছেন। 'দিদি নম্বর ওয়ান' করে আর সময় পান না তিনি। এখন মানুষের সেবা করার জন্য রাজনীতিতে এসেছেন। তাঁর দাবি, "সম্মান-ঐশ্বর্য সব কিছু হয়ে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য এসেছি। ছেলের জন্য একটু পিছিয়ে ছিলাম এতদিন। দিদি কথা বলার পরই রাজনীতিতে নেমে পড়েছি ৷ আগামীতে মানুষ জেতালে সাংসদ হয়ে লোকসভায় মানুষের কথা তুলে ধরব।"
আরও পড়ুন: