কলকাতা, 7 জুলাই: নামে কী বা আসে যায়? কিন্তু নাম যদি হয় মহেন্দ্র সিং ধোনি, তাহলে তো যাবে আসবেই ৷ পুরনো সব বাড়ি, ব্রিটিশ আমলের অফিস-কাছারির পাশাপাশি শহর কলকাতার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের আলাদা পরিচিতি রয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির চায়ের দোকানে ৷ হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন ৷ বছরের পর বছর ধরে রমরমিয়ে চলছে সেই দোকান ৷
চায়ের ঠেকে বছরের পর বছর তুফান তুলেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু তাঁর হাতের তৈরি চায়ে চুমুক দেওয়ার সুযোগ হয়েছে কি কখনও? না হলে চলে আসতেই পারেন উত্তর কলকাতার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে। বিষয়টা খোলসা করা যাক এবার ৷ বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে চা-বিক্রেতা মহেন্দ্র সিং ধোনি বিশ্বজয়ী প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়কের সমনামা ৷ বিষয়টি নেহাতই কাকতালীয় হলেও মহেন্দ্র সিং ধোনির জন্মদিনে তাঁর সমনামার চায়ের দোকানে ঢুঁ দিল ইটিভি ভারত ৷
নেই কোনও নাম, নেই কোনও সাইনবোর্ডও ৷ তবু বংশ পরম্পরায় 102 বছর ধরে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে মোষের দুধের চা তৃষ্ণা মেটাচ্ছে চা-প্রেমীদের ৷ 1922 সালে বিহার থেকে এসে উত্তর কলকাতার জনপ্রিয় এই রাস্তায় চায়ের দোকান তৈরি করেছিলেন জুহুরি সিং ধোনি। এখন দোকানের দায়ভার ছেলে মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে ৷ বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের চায়ের দোকান এখন তাই পরিচিত ধোনির চায়ের দোকান হিসেবেই ৷ এই চা যে কেবল তৃষ্ণা মেটায় তাই নয়, মহেন্দ্র সিং ধোনি জানাচ্ছেন, তাঁর চা খেলে পেটে পাথরও হবে না।
নেই চায়ের রকমফের ৷ 5 টাকা, 15 টাকা, 30 টাকা বিভিন্ন দামে কেবল মোষের দুধের চা মন কাড়ছে চা প্রেমীদের। তবে চায়ে চুমুক দিয়ে বহু মানুষই অবাক হচ্ছেন দোকানের মালিকের নাম শুনে। আবার এমন বহু ক্রেতা রয়েছেন, যাঁদের ধোনির চা ছাড়া চলে না একটা দিনও ৷ অজিত কেজরি নামে এক ভদ্রলোক ধোনির দোকানে চা খেতে আসেন রোজ। গৌরব সিং জানান, আমরা রোজ এখানে চা খেয়ে যাই, ধোনির হাতে তৈরি চা অসাধারণ। অঙ্কিত চট্টোপাধ্যায় নামে আরেক ক্রেতা জানান, এতদিন আইপিএল চলছিল, তখন রোজ ধোনির খেলা নিয়ে আলোচনা হত, সদ্য শেষ হওয়া টি-20 বিশ্বকাপের সময়ও ধোনির চায়ে চুমুক দিয়ে ক্রিকেট নিয়ে চর্চা হয়েছে রোজ ৷