জলপাইগুড়ি, 11 ফেব্রুয়ারি: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে গত 5 তারিখ এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয় ৷ পুলিশ ও বিজিবি সূত্রে খবর, তিনি বাংলাদেশের বাসিন্দা ৷ সেই মৃ্তদেহ গতকাল, সোমবার রাতে বাংলাদেশের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ ও জলপাইগুড়ির পুলিশ।
গত 5 তারিখ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্টে পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। জলপাইগুড়ির বেরুবাড়ি 2 নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের ছয়ঘরিয়া পাড়ার এক চা বাগানে ওই মৃতদেহটি উদ্ধার হয়। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় যায় বিএসএফ ও পুলিশ। মৃত ব্যক্তির আনুমানিক বয়স প্রায় 50 বছর। যদিও স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, তিনি বাংলাদেশের বাসিন্দা ছিল ৷ জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ মৃতদেহ শনাক্তকরণের চেষ্টা চালায়। বিএসএফের মাধ্যমে বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগও হয়।
উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পিলার নম্বর 775/16,S/1-এর কাছে পচাগলা অবস্থায় একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বিজিবি, বিএসএফকে জানায়, মৃত ব্যক্তির নাম আব্দুল খালেক মানু (50)। আব্দুল খালেকের বাড়ি বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বড় বোদা উপজেলার শশি ইউনিয়নের প্রধান পাড়া গ্রামে। এরপর বিষয়টি জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানাকে জানানো হয় ৷ আইন মেনে গতকাল, সোমবার রাতে জলপাইগুড়ির ফুলবাড়ি আন্তর্জাতিক চেক পোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয়।
এদিকে বাংলাদেশের আব্দুল খালেকের মেয়ে প্রভা আখতার প্রথমদিনই দাবি করেন, নদীর ওপারে আমি বাবার পোশাক দেখে চিনতে পেরেছিলাম। কিন্তু, মৃতদেহ বিএসএফ নিয়ে চলে যায়। উল্লেখ্য়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এই এলাকায় একটি চা-বাগান রয়েছে ৷ গত 5 ফেব্রুয়ারি বাগানের মালিক অশোক রায় গাছে জল দেওয়ার সময় একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ঘটনাটি তিনি বিএসএফকে জানান। বিএসএফ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ দেখে খবর দেয় কোতোয়ালি থানার মানিকগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশকর্মীদের ৷
পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পাঠায়। ভারতের পক্ষ থেকে BGBকে বিষয়টি জানানো হয় ৷ তদন্তের পর ব্যক্তির পরিচয় জানা যায় ও তাঁর দেহ বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ ও জলপাইগুড়ির পুলিশ ৷