মধ্যমগ্রাম, 25 মে: ফের বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন বারাসতের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার। এবার সন্দেশখালির নারী নির্যাতনে সমর্থনকারী তৃণমূল নেতাদের জুতো দিয়ে পেটানোর নিদান দিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক। ঠিক একদিন আগেই স্বপনকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
শনিবার দুপুরে মধ্যমগ্রামের পূর্বাঞ্চল এলাকায় জনসংযোগ সারেন বারাসতের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার। হুডখোলা জিপে এদিন পূর্বাচল এলাকার বিভিন্ন অলিগলি চষে বেড়ান। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তিনি ৷ স্বপন বলেন, "সন্দেশখালিতে ঘরের মা-বোনেদের ধর্ষণ করা হয়েছে। রাতের অন্ধকারে পার্টি অফিসে ডেকে এনে নির্যাতন চালানো হয়েছে। এরপরও ধর্ষণকারীদের যারা সমর্থন করছে, তাদের জুতো দিয়ে পেটানো উচিত।"
কেন এই মন্তব্য করলেন তার ব্যাখ্যাও দিলেন বারাসতের বিজেপি প্রার্থী ৷ তাঁর কথায়, "সন্দেশখালির মা-বোনেদের সম্মানের কী দাম নেই? তাঁদের সম্মান নিয়ে যাঁরা খেলে তাদের শায়েস্তা করতে জুতো দিয়ে পেটানো ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। বাংলার মানুষ জানে কাদের পেটাতে হবে। যারা সন্দেশখালির ঘটনাকে সমর্থন করছে তাদের প্রত্যেককেই জুতো দিয়ে পেটানো দরকার।"
আরও পড়ুন: সন্দেশখালির নারী নির্যাতনের ঘটনা সাজানো, তৃণমূলে যোগ দিয়ে দাবি প্রাক্তন বিজেপি নেত্রীর
স্বপনের আক্রমণের হাত থেকে বাদ যাননি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ও। তৃণমূল নেতাকে গরু ও কয়লা পাচারকারী অ্যাখা দিয়ে স্বপন মজুমদার বলেন, "অভিষেক গরু, কয়লা, সোনা পাচারকারীর থেকে টাকা খান। তাই উনি কী বলল না বললেন তাতে কিছু আসে যায় না। ওঁকে আগামিদিনে এর হিসেব দিতে হবে। তৃণমূল মানেই কাটমানি এবং চোরের দল। এই বাংলায় বিজেপির অসংখ্য কর্মীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন অভিষেক। আমাকেও ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছিল। আগামিদিনে এর পর্দা ফাঁস করব।"
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই বারাসতের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের সমর্থনে রোড শো করেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। রোড শো শেষে চাঁপাডালি মোড়ে এক সভা থেকে কাকলির প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের বায়োডাটা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁকে ভোট না দেওয়ার আবেদনও জানান অভিষেক। এরপরই জুতো মারার নিদান দিলেন স্বপন।
আরও পড়ুন: রেখা পাত্র কি জিতবেন ? আদালত চত্বরে বড় দাবি শাহজাহানের