হাওড়া, 10 জানুয়ারি: মালদা তৃণমূল জেলা সহ-সভাপতি দুলাল সরকারের হত্যাকাণ্ডে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর। রামরাজাতলায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এসে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘এটা এলাকা দখল ও অর্থ তোলার লড়াই। আর আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ক্যাবিনেট মন্ত্রিসভার একজন ফোনে এসপি প্রদীপ যাদবকে দুলালের নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। আমি আবার বলছি বিপদজনক অবস্থা । এরা গোলাগুলি ছুঁড়বে, আর সেই গুলি আপনার বা আমার মাথায় লাগবে কি না জানি না ।’’
পাশাপাশি মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্যের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ফিরহাদ হাকিমকে এখনই মন্ত্রিসভা থেকে বের করে দিয়ে এনআইএ’র হাতে তুলে দেওয়া উচিৎ । উনি ধর্মের নামে জনসংখ্যা বৃদ্ধি করে কীভাবে দখল করতে চান । তিনি তাঁর ধর্মের বড়াই করতেই পারেন, কিন্তু অন্যের ধর্মকে অশ্রদ্ধা করতে পারেন না।’’
এছাড়াও শুভেন্দু মমতা ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের মধ্যের বিরোধকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘ওগুলো সব লোক দেখানো । পিসির উপরে রাগ করে লোকেরা ভাইপোর কাছে যায়, আর ভাইপোর উপরে রাগ হলে পিসির কাছে যায় । আমি আবারও বলছি, পিসি ছাড়া ভাইপো জিরো, আর ভাইপোর অর্থ ছাড়া পিসি জিরো ।’’
মালদার ঘটনার জের ! জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতির দেহরক্ষী নিয়োগ
মালদার তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুনে অভিযুক্ত দলেরই আরেক নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি । তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছে । মালদায় তৃণমূল নেতা খুনের পর এবার পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি বিষ্ণুদেব নুনিয়াকে পুলিশি নিরাপত্তা দিল রাজ্য সরকার ।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার মোট তিন তৃণমূল নেতাকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর । পুলিশি নিরাপত্তা পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে বিজেপিকে তুলোধোনা করেন বিষ্ণুদেব ৷ তাঁর অভিযোগ, বিজেপি বাংলায় অশান্তির আবহ তৈরি করার চেষ্টা করছে ৷
‘‘তৃণমূলের শাসনে তৃণমূল নেতাকে পুলিশ পাহারা নিতে হচ্ছে ৷ এর চেয়ে শাসক দলের নেতাদের কাছে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না ৷’’ পাল্টা প্রতিক্রিয়া বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শ্রীদীপ চক্রবর্তীর । শ্রীদীপের অভিযোগ, "এরাজ্যে শাসকদলের নেতাদের দিনে-দুপুরে রাস্তায় গুলি করে খুন করা হচ্ছে । বিজেপি’কে দোষারোপ করছে, অথচ ধরা পড়ছে শাসকদলেরই নেতারা । মাফিয়াদের তোলাবাজদের রাজত্ব চলছে । বিষ্ণুদেব নুনিয়া আগে সিপিআইএম এর ডাকাবুকো নেতা হিসাবে খনি অঞ্চলে পরিচিত ছিলেন । রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেন । খনি অঞ্চলের শ্রমিক সংগঠনেও তাঁর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে ।’’