কলকাতা, 12 ফেব্রুয়ারি: আজ রাজ্য বিধানসভার পেশ হতে চলেছে রাজ্য বাজেট। রাজ্যবাসীর চোখ অবশ্যই দিনভর থাকবে রাজ্য বিধানসভার দিকের। এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের আগ্রহ লক্ষীর ভান্ডারের টাকা বাড়ছে কিনা তা নিয়ে থাকলেও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একটা বড় অংশ বাজেটের দিকে তাকিয়ে আছে মূলত মহার্ঘ ভাতা বাড়বে কিনা তা জানার জন্য।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অষ্টম পে কমিশন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতন একধাক্কায় 10-30 শতাংশ হারে বাড়তে চলেছে। এই অবস্থায় রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে সপ্তম পে কমিশনের হিসাবে ডিএ বৃদ্ধির দাবি আরও জোরদার হচ্ছে। 2015 সালের নভেম্বর মাসে রাজ্যের ষষ্ঠ পে কমিশনের ঘোষণা হয়েছিল। তারপর প্রায় এক দশক অতিবাহিত হতে চলেছে। সেই জায়গা থেকে এখনও পর্যন্ত সপ্তম পে কমিশন নিয়ে কোনও খবর নেই। তবে মনে করা হচ্ছে, আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এই বাজেটে 4 থেকে 6 শতাংশ মহার্ঘ ভাতা আজ ঘোষণা হতে পারে। বিকেল চারটেয় বাজেট পেশ করবেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ৷ সেখানে ডিএ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মূলত, ভোট বাক্সের কথা মাথায় রেখেই ঘোষণা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে নিয়ে মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সেই মামলার দিকে তাকিয়ে আছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। চার থেকে ছয় শতাংশ মাহার্ঘ ভাতা কোনভাবেই সাধারণ সরকারি কর্মচারীদের খুশি করবে না। সরকারি কর্মচারীদের বড় অংশ রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ব্যবধান কমাতে 39 শতাংশ ডিএ-র ঘোষণা চায়। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীরা এই মুহূর্তে 14 শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন ৷ অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার কর্মচারীরা 53 শতাংশ ডিএ পান। এই অবস্থায় এই ব্যবধান ঘোচাতে সত্যিই কোনও খুশির খবর থাকে কিনা, সেটাই এখন দেখার।
এদিন এই নিয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সভাপতি ভাস্কর ঘোষ বলেন, "এই সরকার আমাদের প্রাপ্য ডিএ দেয় না। কাজেই ডিএ নিয়ে বড় কোনও সুখবর আমরা আশা করছি না। আর পে কমিশন? প্রায় সব রাজ্যে কেন্দ্রের পে কমিশনই লাগু আছে। এ রাজ্যে নেই। আমাদের দাবি, কেন্দ্রের পে কমিশন এ রাজ্যেও কার্যকরী হোক।" একইসঙ্গে তিনি ন্যায্য ডিএ দেওয়ার দাবি করেছেন।