কলকাতা, 28 অক্টোবর: বর্তমানে বহিষ্কৃত সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য ৷ তাঁর বাড়িতে সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে এক মহিলা সাংবাদিক হেনস্থার অভিযোগ তোলেন ৷ ওই মহিলা সাংবাদিকের ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল শুরু হয় ৷ সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ বরানগর থানা তাঁকে ডেকে পাঠায় ৷ এরপরই সাংবাদিক বৈঠক করেন তন্ময় ৷ তিনি এই অভিযোগের বিরুদ্ধে স্পষ্ট জানান, এটা 'পরিকল্পিত কুৎসা' ৷ বর্ষীয়ান এই নেতা পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, ভদ্রমহিলা আমার বাড়ি থেকে হাসতে হাসতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন । নির্যাতিতা হলে কি তিনি তা পারতেন?
এরপরই তিনি হাসতে হাসতে বলেন, "ওই বছর কুড়ি-একুশের অভিযোগকারিণী মহিলা সাংবাদিকের শরীরের ওজন 40-41 কেজি। আর আমার ওজন 82-83 কেজি। আমি যদি ওঁর কোলে বসে পড়তাম তাহলে কি তিনি সুস্থ থাকতেন?" এরপর তিনি আরও বলেন, আমার পাশের বাড়ি ছেলে শুভাশিস সেনগুপ্ত প্রতিদিন বাড়িতে কাগজ পড়তে আসত ৷ সেদিনও এসেছিল ৷ তারপর কাগজ পড়ে বাড়ি চলে যায় ৷ সেইসময় শুভাশিস দেখতে পায় ওই মহিলা সাংবাদিক আর তাঁর ক্যামেরাপার্সন হাসতে হাসতে আমার বাড়ি থেকে বেরচ্ছে ৷ ও আমাকে জানায় ৷ যদি কাউকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হয় তাহলে তিনি কি হাসতে হাসতে বেরতে পারেন?"
প্রাক্তন বিধায়ক এদিন আরও বলেন, "যে সময়ে ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হয়েছে, তার পরে মেয়েটি প্রায় 25 মিনিট আমার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। এরপর আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে মেয়েটির সল্টলেক যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে একটি সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা ছিল ওঁর। যিনি মানসিকভাবে এতটা বিধ্বস্ত হয়ে রয়েছেন, তাঁর পক্ষে কি এত কাজ করা সম্ভব?"
প্রসঙ্গত, রবিবার সোশাল মিডিয়ায় এক মহিলা সাংবাদিক তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তোলেন। যা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় ৷ মহিলা সাংবাদিক গতকাল বলেন, "বামনেতার ইন্টারভিউ নিতে বাড়ি গিয়েছিলাম। সেখানে আমার ক্যামেরাপার্সন যখন বলছিলেন কোথায় বসতে হবে, তখন তন্ময় ভট্টাচার্য বলতে থাকেন, কোথায় বসব! বলেই আমার কোলে বসে পড়েন।" বামনেতার এই আচরণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন ওই মহিলা সাংবাদিক ৷ এরপর শ্লীলতাহানির ঘটনায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।