দার্জিলিং, 24 অক্টোবর: মানসিক ভারসাম্যহীন নাবালিকা মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ ! দিদার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হল সৎ বাবাকে । ঘটনাটি শিলিগুড়ি সংলগ্ন নকশালবাড়ি ব্লকের ৷ এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায় ।
জানা গিয়েছে, মানসিক ভারসাম্যহীন 16 বছরের ওই কিশোরীর মা কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকেন । বছর পাঁচেক আগে প্রথম পক্ষের স্বামীর মৃত্যুর পর অভিযুক্তের সঙ্গে বিয়ে হয় নাবালিকার মায়ের । অভিযুক্তেরও এটি দ্বিতীয় পক্ষের বিয়ে । দ্বিতীয় বিয়ে করলেও অভিযুক্ত প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গেই থাকেন । দ্বিতীয় স্বামীর দৌলতেই দিল্লিতে কাজ পান নির্যাতিতার মা । তিনি তিন মাস ধরে দিল্লিতেই থাকেন । নাবালিকাকে দেখাশোনার জন্য দিদার বাড়িতে রাখা হয়েছিল । মেয়ের খোঁজ নিতে মাঝেমধ্যেই সেখানে যেতেন সৎ বাবা । দেখা করার নাম করে তিনি লাগাতার নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ ৷
অভিযোগ, মাসখানেক ধরে নাবালিকার উপর নির্যাতন চালাচ্ছিলেন অভিযুক্ত সৎ বাবা । দুর্গাপুজোর সময় কিশোরীর দিদা বিষয়টি ধরে ফেলেন । তিনি প্রতিবাদ করলে তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দেন অভিযুক্ত । এরপর নাবালিকার দিদা দিল্লিতে নিজের মেয়েকে বিষয়টি জানান ৷ কিন্তু নাবালিকার মা এ ব্যাপারে থানা-পুলিশ করতে ও অভিযোগ জানাতে নিষেধ করেন । এরপর সম্প্রতি আবার অভিযুক্ত একই জঘন্য কাজ করেন বলে অভিযোগ । এবার আর অন্যায় সহ্য না-করে প্রতিবেশীকে বিষয়টি জানান দিদা । প্রতিবেশী এক যুবকের সহায়তায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি ।
অভিযোগ পেতেই অভিযান চালায় নকশালবাড়ি থানার পুলিশ । পুলিশ অভিযুক্তের বাড়িতে তাঁকে গ্রেফতার করতে গেলে তিনি শৌচাগারে লুকিয়ে পড়েন । এরপর তাঁকে টেনে হিঁচড়ে বের করে থানায় নিয়ে আসা হয় । বৃহস্পতিবার তাঁকে শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হবে ।
নির্যাতিতার দিদা বলেন, "অনেকদিন ধরেই অত্যাচার চালিয়ে আসছিল । প্রথমে আমি বিষয়টি মেয়েকে জানাই । কিন্তু মেয়ে পুলিশকে জানাতে বারণ করে দেয় । জামাই সম্প্রতি বাড়িতে এসে আবার একই কাজ করে । এরপর আমি আর সহ্য করতে না পেরে গ্রামবাসীদের জানাই ৷ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে ।"
এক গ্রামবাসী জানান, "যে জঘন্য কাজ অভিযুক্ত করেছে তার জন্য তার ফাঁসি হওয়া উচিত ।" দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ বলেন, "ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে । তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে । কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না ।"