কলকাতা, 6 সেপ্টেম্বর: ধর্ষণ-বিরোধী "অপরাজিতা ওমেন অ্যান্ড চাইল্ড বিল 2024"-এর টেকনিক্যাল রিপোর্ট পৌঁছে গিয়েছে রাজভবনে ৷ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ইটিভি ভারতকে তেমনটাই জানিয়েছেন ৷ 3 সেপ্টেম্বর রাজ্য বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই বিল পাশ হয় ৷ এরপর বিলটি আইনে পরিণত করতে তা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে পাঠায় রাজ্য ৷
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এদিন জানান, রাজ্য সরকারের তরফে তাঁকে বিলের কপি পাঠানো হয়েছে ৷ কিন্তু এই বিলের টেকনিক্যাল রিপোর্ট পাঠানো হয়নি ৷ সেই টেকনিক্যাল রিপোর্ট হাতে না পাওয়ার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাচ্ছে না ৷ সূত্রের খবর, রাজভবনের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে বিলের টেকনিক্যাল রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয় ৷ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, শুক্রবারই অপরাজিতা বিলের টেকনিক্যাল রিপোর্ট রাজ্যপালের কাছে চলে যাবে ৷ সেইমতো বিলের টেকনিক্যাল রিপোর্ট রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ৷
তিনি ইটিভি ভারতকে বলেন, "গতকাল রাতে রাজভবন থেকে টেকনিক্যাল রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল ৷ রাজ্যপালের যে যে বিষয়ে জিজ্ঞাস্য ছিল, তার বিস্তারিত রিপোর্ট শুক্রবার বিকেলেই রাজভবনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷"
টেকনিক্যাল রিপোর্ট
প্রতিটি বিলেরই এই বিশেষ রিপোর্ট থাকে । বিলে কী বলতে চাওয়া হয়েছে তা এই রিপোর্ট থেকে জানা যায়। কোনও বিলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার আগে এই রিপোর্ট রাজ্যপালকে বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে। এই বিলের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল রাজ্যের থেকে কয়েকটি নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছিলেন বলে জানান আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।
তিনি জানান, বিল পেশের আগে এই প্রস্তাব রাজ্য মন্ত্রিসভাযর অনুমোদন পেয়েছিল কি না তা রাজ্যপাল জানতে চান। তাছাড়া কী উদ্দেশ্য নিয়ে এই বিল আনা হল ? ভারতীয় ন্যায় সংহিতা থাকতেও এই বিল আলাদা করে কেন প্রয়োজন? আলোচনার সময় বিলটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছিল কি না ? সেখানে কোনও সংশোধনী দেওয়া হয়েছিল কি না ! সংশোধনী নিয়ে সরকার পক্ষের অবস্থান কী ছিল ? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরে জানতে চান রাজ্যপাল। মলয় ঘটক জানান, রাজভবনের তরফে যে যে প্রশ্নের জবাব চাওয়া হয়েছিল, সেসবেরই উত্তর দেওয়া হয়েছে ৷ এবার দেখার রাজ্যপাল কত দ্রুত বিলটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠান ৷