ডায়মন্ড হারবার, 10 সেপ্টেম্বর: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়েকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করায় গ্রেফতার হয়েছেন দুই মহিলা । তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র ৷ তবে পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি ৷ আইনজীবী অভিযুক্তদের সঙ্গে দেখা করতে পেরেছেন ৷ ওই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা দায়ের হওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেত্রী ৷
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-পড়ুয়া ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে রোজই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মিছিল হচ্ছে ৷ তেমনই একটি মিছিল থেকে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ের সম্পর্কে আপত্তিরক মন্তব্য করেন অভিযুক্ত দুই মহিলা ৷ এদিন তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, "চারিদিকে ধর্ষণ-খুন হচ্ছে । সেখানে প্রকৃত দোষীরা সাজা পাচ্ছে না ৷ কোনও মিছিলে কেউ কুমন্তব্য করেছেন ৷ তা অবশ্যই সমর্থনযোগ্য নয় । কিন্তু তা-বলে পকসো আইনে ফাঁসিয়ে দেবে বা ধরে এনে মারধর করবে কেন ?"
ফাল্গুনী দাবি করেন, নবান্ন অভিযানের দিন যাঁরা এই মিছিল করেছিলেন, তাঁদের তিনি চেনেন না ৷ তাঁর কথায়, "আমরা তাঁদের চিনি না ৷ তাঁরা কোনও কথা বলেছিলেন ৷ আমরাও তা সমর্থন করি না ৷ কিন্তু তার মানে তাঁর সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, বা ওই মন্তব্য শুনে যাঁরা হাততালি দিয়েছিলেন তাঁদের পকসো আইনে ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে সেটা হতে পারে না। কোন আইন চলছে পশ্চিমবঙ্গে !"
অভিযুক্তদের একজনের বাবা-মা কেউ নেই ৷ অন্য অভিযুক্ত পড়ুয়া ৷ বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী বলেন, "এটা যেহেতু ডায়মন্ড হারবার, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়, তাই আইন ও ক্ষমতা হাতে থাকলে সবই করা যায় ?" এই প্রসঙ্গে তিনি যাদবপুরের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, "যাদবপুরে একটা ঘটনা ঘটেছে। সেখানে মেডিক্যাল পর্যন্ত হয়নি ৷ ডাক্তার নেই, মেডিক্যাল করাতে পারেনি ৷ তার মানে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করে দেবে ৷ তার মানে দোষী যাতে ছাড়া পায়, তার ব্যবস্থা করে দেওয়া ৷"