বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক পরিবারে মৃত 4, হুকিং প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ মেয়রের - Four Family Members Electrocuted - FOUR FAMILY MEMBERS ELECTROCUTED
Death by Electrocution: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের চার জনের মৃত্যু ৷ শনিবার ঘটনাস্থলে যান শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব ৷ যদিও হুকিং মানতে নারাজ স্থানীয় প্রশাসন ৷
![বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক পরিবারে মৃত 4, হুকিং প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ মেয়রের - Four Family Members Electrocuted Death by Electrocution](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/28-09-2024/1200-675-22557988-thumbnail-16x9-goutamdeb.jpg?imwidth=3840)
![ETV Bharat Bangla Team author img](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/authors/bangla-1716535612.jpeg)
Published : Sep 28, 2024, 1:17 PM IST
জলপাইগুড়ি, 28 সেপ্টেম্বর: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের চার জনের মৃত্যুর পর ঘটনাস্থলে গেলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়, মহকুমা শাসক তমোজিৎ চক্রবর্তীও ৷ অবৈধভাবে হুকিং করে বিদ্যুৎসংযোগ করতে গিয়ে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠলেও, এ প্রসঙ্গে মুখ খুলতে রাজি হলেন না মেয়র ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির পাশে বিদ্যুৎ-এর তারে হুকিং করতে গেলে তার ছিড়ে যায় ৷ ঘটনায় একই পরিবারের চার জনের মৃত্যু হয় ৷ ঘটনাটি জলপাইগুড়ি জেলার এক নম্বর টাকিমারির মিলনপল্লী ঘটনা।
জলপাইগুড়ি জেলার ভোরের আলো থানা এলাকায় ইলেকট্রিক শকে গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাদের প্রত্যেককেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, টাকিমারির বাসিন্দা পরেশ দাসের বাড়িতে হুকিং করার সময় বিপত্তি ঘটে। প্রথমে তাঁর ছেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। এরপর তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে লুটিয়ে পড়েন পরেশ দাস এবং স্ত্রী দীপালি দাস ও নাতি ৷
এদিন পরিবারের সঙ্গে দেখা করে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, "অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। চার জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের পাশে থাকার জন্য আমরা এসেছি ৷ মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, এখানে এসে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ৷ বিদ্যুৎমন্ত্রীও আসার কথা বলেন। প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা এসেছি ৷ প্রশাসন থেকে সব রকম সাহায্য করার করা হবে। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা তদন্তসাপেক্ষ ৷ মৃতের এক ছেলে বাইরে কাজে থাকেন তিনিও আসছেন। পরিবারের মানুষ যা বলেছেন আমি সেটা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব। কীভাবে হল তা এই পরিস্থিতিতে বলা সম্ভব না।"
অন্যদিকে, রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, "বিদ্যুতের তার ছিড়ে চার জন মারা গিয়েছেন। মেয়র এসেছেন, আমিও এলাম। গতকাল রাতেই আমি ঘটনাস্থলে এসেছিলাম। বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা দেখে বলবে, কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে ৷ কেউ যদি হুকিং করে বিদ্যুৎসংযোগ করে, তাহলে বিদ্যুৎ দফতরের উচিত স্থানীয়দের সচেতন করা উচিত।" স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য বিকাশ দাস বলেন, "বিদ্যুতের তার ছেড়া ছিল। সেখান থেকেই চার জনেরই মৃত্যু হয়েছে। হুকিং-এর জন্য ঘটনাটি ঘটেছে বলে শুনেছি।"