কলকাতা, 1 এপ্রিল: সন্দেশখালির মানুষের থেকে জোর করে জমি দখল করে নেওয়া তো রয়েইছে ৷ পাশাপাশি চিংড়ির ভেড়ি ব্যবসার আড়ালে 31 কোটি 20 লক্ষ টাকা বেআইনি পথে পাচার করেছে শেখ শাহজাহান ৷ আদালতে এমনটাই দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। ভুয়ো ব্যবসা দেখিয়ে কালো টাকা সাদা করার পাশাপাশি চিংড়ির ব্যবসার আড়ালে বেআইনি কাজ করত শেখ শাহাজাহান, সোমবার এমনটাই অভিযোগ করে ইডি। সিবিআই'য়ের পর এবার শেখ শাহজাহানকে ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হল ৷ কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিচারক শুভেন্দু সাহা আগামী 13 এপ্রিল পর্যন্ত সন্দেশখালির 'বেতাজ বাদশা'কে ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
শাহজাহানের আইনজীবী গ্রেফতারির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায়, ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী এদিন আদালতে বলেন, "উনি কিংপিন, মাস্টারমাইন্ড ছিলেন বেআইনি জমি দখল সিন্ডিকেটের। আদিবাসীদের অবৈধ জমি দখল থেকে মাছের ভেড়ি ওর হাতের মুঠোয়। এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে অনেকেই জড়িত ৷ তাদের চিহ্নিত করা গিয়েছে কিন্তু এখনও তারা অধরা। ভেড়ির মালিক নয় এমন কিছু ভুয়ো লোকজনকে ভেড়ির মালিক দেখানো হচ্ছে। এই মাছের ব্যবসার অকশন হত। ভুয়ো লেনদেন চলত। এভাবে কালো টাকাকে সাদা করা হত।
ইডি ধৃতকে গ্রেফতার করেছে। হ্যাঁ এটা বৈধ। সন্দেশখালির মানুষের বিচারের কথা মাথায় রেখে, গোটা ভারতের স্বার্থে ধৃতকে ইডি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে চাই। এরপরই ইডির তরফে করা আবেদন মঞ্জুর করে আদালত ৷ এদিন বিকেল 4টে 15 মিনিট নাগাদ ইডি বিশেষ আদালতের এজলাসে শেখ শাহজাহানকে পেশ করা হয়। শাহজাহানের আইনজীবী জাকির হোসেন তাকে ইডি'র গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ম তোলেন। কীসের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানতে চান। কারণ শাহজাহানের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই বলেও জানান তিনি। যদিও দুই পক্ষের বক্তব্য শেষে বিচারক শাহজাহাকে 13 এপ্রিল পর্যন্ত ইডির হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: