কোতুলপুর(বাঁকুড়া), 17 নভেম্বর: দীর্ঘ 27 বছর নিখোঁজ ছিলেন ৷ পুলিশের তৎপরতায় অবশেষে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে পরিবারের কাছে ফিরলেন বিশ্বজিৎ পাইন ৷ ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানা এলাকায় ৷
পরিবার সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত নয়ের দশকে ৷ বিশ্বজিতের বয়স তখন বছর পঁচিশ ৷ তরতাজা যুবক ৷ সে সময় বর্ধমানে চিকিৎসক দেখাতে গিয়ে হারিয়ে যান। তারপর দীর্ঘ 27 বছরের অন্তরাল।
এখন সেই যুবক প্রৌঢ়ত্বের দরজায় ৷ 52 বছর বয়সে এসে তিনি খুঁজে পেলেন নিজের বাড়ি ৷ কোতুলপুর থানার পুলিশ ও পরিবারের সহায়তায় অন্ধ্রপ্রদেশের মানসিক হাসপাতাল থেকে নিজের পরিবারের কাছে ফিরলেন বিশ্বজিৎ পাইন ।
পুলিশ ও স্থানীয়দের তরফে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার মদনমোহনপুর গ্রামে বাবা, মা ও তিন ভাই বোনের মাঝেই বড় হন বিশ্বজিৎ । যখন তাঁর 25 বছর বয়স তখন তাঁর কয়েকটি মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। সেই সময় বর্ধমান শহরের এক চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় পরিবার । কিন্তু বর্ধমান থেকে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান বিশ্বজিৎ। সে সময় পরিবারের সদস্যরা সর্বত্র খোঁজ করেন তাঁর ৷ কিন্তু বিশ্বজিতের কোনও খোঁজ না পাওয়ায় তাঁরা কার্যত হতাশ হয়ে পড়েন ৷ একসময় তাঁরা হালও ছেড়ে দেন ।
তারপর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়েছে ৷ বিশ্বজিৎ ফিরে আসেননি। সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশের এক মানসিক হাসপাতালের চিকিৎসক কোতুলপুর থানায় ফোন করে জানান, বিশ্বজিৎ তাঁর চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিশ্বজিতকে ওই চিকিৎসক নিজের কাছে রেখেছেন। বিশ্বজিৎ-ই তাঁকে নিজের বাড়ির ঠিকানা লিখে দিয়েছেন। এরপরই তাঁকে ফেরানোর তোড়জোড় শুরু হয় ।
বিশ্বজিতের দাদা বংশী পাইন বলেন, "অনেক বছর পর দেখায় প্রথমে বিশ্বজিৎকে আমি চিনতে পারিনি ৷ পরে চিনতে পেরে ভাইকে ফেরাতে রওনা দিই অন্ধ্রপ্রদেশে । সেখান থেকে এ দিন বিশ্বজিৎকে নিয়ে কোতুলপুরে ফিরেছি ৷" বিশ্বজিতের দিদি শ্যামা দের কথায়, "25 বছর বয়সে ভাই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ৷ এতদিন পর তাঁকে ফিরে পাওয়ায় আমরা খুব খুশি ৷৷"