বিধাননগর, 17 নভেম্বর: বাড়িতে কেউ না-থাকার সুযোগ ৷ আলমারি থেকে হীরে, সোনা, রুপো, নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দিল চোর ৷ গত মঙ্গলবার পরিবারের গৃহকর্তা সন্দীপ কুমার গুপ্তা, তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন ৷ সেখান থেকে দিদির বাড়ি রুবিতে যান তাঁরা। রুবি থেকে বৃহস্পতিবার শ্বশুরবাড়ি কাঁকিনাড়ায় যান ৷ রবিবার সকালে প্রতিবেশীরা গৃহকর্তাকে ফোন করে জানান তাঁর বাড়ির তালাভাঙা ৷ বাড়ির 6টি তালা ভেঙে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা বিধাননগরের জ্যাংড়ায়।
চুরির ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। লক্ষ লক্ষ টাকা গয়না চুরির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এক প্রতিবেশী এদিন ভোরবেলা দেখেন বাড়ির তালা ভেঙে ঝুলছে! একজনকে পালাতেও দেখেন তিনি ৷ তারপরই গৃহকর্তাকে খবর দেন ৷ সন্দীক কুমার গুপ্তা এসে দেখেন, নীচতলা থেকে দোতলায় যে 6টি তালা দিয়ে তিনি গিয়েছিলেন, তার সবক'টি ভাঙা ৷ দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এমনকী ঘরের একটি আলমারি ভেঙে প্রায় 300 গ্রাম সোনা-রুপো ও এবং হীরের গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
প্রতিবেশী সোমনাথ দত্ত বলেন, "আজ ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ বারান্দা থেকে দেখি একজন এই বাড়ি থেকে বেরোচ্ছে ৷ অন্ধকার ছিল তাই পরিষ্কার দেখতে পায়নি ৷ কিন্তু বারান্দার কাছে এসে দেখি ওই ব্যক্তি হাতে রড নিয়ে বাড়ির গেট বন্ধ করে বেরিয়ে যাচ্ছে ৷ তারপরই আমি বাড়ির মালিক সন্দীপ গুপ্তাকে ফোন করি ৷ তড়িঘড়ি তিনি এসে দেখেন সমস্তকিছু খোয়া গিয়েছে ৷ প্রায় 30-35 লাখের গয়না ছিল বলে জানতে পেরেছি ৷"
এদিকে জনবহুল এলাকা থেকে কীভাবে তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটল তা নিয়ে নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলেছেন প্রতিবেশীরা ৷ রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিতকরণের কাজ করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।