কুলতলি, 26 মে: ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশে। রবিবার সকাল থেকেই বৃষ্টির সঙ্গে শুরু হয়েছে ঝোড়ো হাওয়া। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝড়ের দাপট আরও বেড়েছে। আর তাই দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা প্রশাসন ও কুলতলি থানার উদ্যোগে 11টি জেসিবি র ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রচুর 'ট্রি কাটার' নিয়ে আসা হয়েছে। পাশাপাশি গাছ কেটে সরাবার জন্য শ্রমিকেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে রাস্তায় কোনও গাছ ভেঙে পড়লে বা ইলেকট্রিকের পোস্টার যদি ভেঙে পড়ে দ্রুততার সাথে তা সরিয়ে ফেলার জন্যই জেসিবি ও টি-কাটার এর ব্যবস্থা করেছে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা প্রশাসন ও কুলতলী থানার পুলিশ।
ঘূর্ণিঝড়ের সব আপডেট পেতে ক্লিক করুন এখানে
এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সাগর,নামখানা ফ্রেজারগঞ্জ সহ একাধিক জায়গায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে উপরে পড়েছে গাছ। রেমালের প্রভাবে রাস্তার উপর ভেঙে পড়ল বিশাল গাছ। যার যেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল। জেসিবি দিয়ে গাছ সরাবার কাজ শুরু করে দিয়েছে কুলতলি থানার পুলিশ। বন্ধ রয়েছে কুলতলি থেকে কৈখালী যাওয়ার রাস্তাও। এছাড়া সমস্ত জায়গায় খাদ্য সরবরাহের জন্য স্থানীয় বেশ কয়েকটি স্কুলে। জেলার বিভিন্ন এলাকা খতিয়ে দেখেছেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা। বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরেও থাকছে একাধিক ব্যবস্থা। পানীয় জল থেকে শুরু করে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলায় কোথায় কোথায় ঝড়ের প্রভাব বেশি পড়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেখানে যেখানে নদী বাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে সেখানে কাজ শুরু করেছে এনডিআরএফ।
ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগেই সমগ্র পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাছাড়া সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়- সহ বহু বিশিষ্টরা।
আরও পড়ুন: ক্রমশ এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল, উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরানো হল প্রায় 30 হাজার মানুষকে