ETV Bharat / state

উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলার একাধিক শিক্ষক সংগঠন - Higher Education of West Bengal

Concern Over Higher Education of West Bengal: বাংলার উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলার একাধিক শিক্ষক সংগঠন ৷ জুটা, কুটা, ওয়েবকুটা-সহ একাধিক শিক্ষক সংগঠন ৷ যেখানে রাজ্য সরকার এবং রাজ্যপাল তথা আচার্যের ভূমিকা নিয়ে চিন্তিত তাঁরা ৷

ETV BHARAT
ETV BHARAT
author img

By PTI

Published : Apr 13, 2024, 7:17 PM IST

কলকাতা, 13 এপ্রিল: পশ্চিমবঙ্গের 12টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন রাজ্য সরকার পরিচালিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল ৷ মূলত, রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এই শিক্ষক সংগঠনগুলি ৷ এর প্রধান কারণ, সম্প্রতি রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর একটি নির্দেশিকা জারি করেছে ৷ যেখানে বলা হয়েছে, যে কোনও নীতি নির্ধারণ বৈঠক এবং রাজ্যপালের 'একতরফা' রিপোর্ট কার্ড চেয়ে পাঠানোর ক্ষেত্রে শিক্ষা দফতরকে যেন জানানো হয় ৷ আর তারই প্রতিবাদ জানিয়েছে ওই 12টি শিক্ষক সংগঠন ৷

আজ সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে এমনটাই জানিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন বা জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থ প্রতিম রায় ৷ জুটা ছাড়াও, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন কুটা, ওয়েবকুটা, আরবিইউটিএ, বুটা, ভুটা, কেইউটিসি, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন এবং ডায়মন্ডহারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন শিক্ষা দফতরের ওই নির্দেশিকার প্রতিবাদ করেছে ৷

শিক্ষক সংগঠনগুলি জানিয়েছে, "শাসকের বিরুদ্ধে শিক্ষাঙ্গনে পড়াশোনার বিশুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ পুনরুদ্ধারের জন্য আগামী 19 এপ্রিল রাজ্যের সকল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনগুলি প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে ৷ যেখানে সরকারের শিক্ষার পরিবেশকে নষ্ট করার বিরুদ্ধে সরব হবে এই সংগঠনগুলি ৷" রাজ্য সরকার এপ্রিল মাসের শুরুতে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে ৷ সেখানে রাজ্য সরকার পরিচালিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত সকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে তাদের ইসি মিটিং, সেনেট, সিন্ডিকেট বা কোর্টের মতো সমস্ত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে শিক্ষা দফতরকে সামিল করতে বলা হয়েছে ৷

প্রতিটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই স্বতন্ত্র কমিটিগুলিতে রাজ্য সরকারের এই হস্তক্ষেপ মানা হবে না বলে জানিয়েছে শিক্ষক সংগঠনগুলি ৷ উল্লেখ্য, এই হস্তক্ষেপের পিছনে রাজ্যের 31টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ইস্যু কাজ করছে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ তবে, এই মুহূর্তে রাজ্যের একত্রিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে ৷ শীর্ষ আদালত এনিয়ে রাজ্যপাল তথা আচার্য, রাজ্য সরকার ও ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন বা ইউজিসিকে তাদের নিজস্ব সার্চ কমিটি গঠন করতে বলেছে ৷ যে কমিটিগুলি উপাচার্যদের একটি তালিকা তৈরি করবে ও আদালতে জমা দেবে ৷ আর তারই মাঝে শিক্ষা দফতরের এই নির্দেশিকা ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে শিক্ষক সংগঠনগুলির মধ্যে ৷

আরও পড়ুন:

  1. উচ্চশিক্ষা দফতর বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক হিসাব আগে কখনও চেয়েছে ? জানতে চাইল রাজভবন
  2. কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনে আপত্তি শিক্ষা দফতরের, পাত্তা দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ
  3. রাজ্য সরকারের নির্দেশ অমান্য, রাজ্যপালের মত নিয়েই সিন্ডিকেট বৈঠক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে

কলকাতা, 13 এপ্রিল: পশ্চিমবঙ্গের 12টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন রাজ্য সরকার পরিচালিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল ৷ মূলত, রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এই শিক্ষক সংগঠনগুলি ৷ এর প্রধান কারণ, সম্প্রতি রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর একটি নির্দেশিকা জারি করেছে ৷ যেখানে বলা হয়েছে, যে কোনও নীতি নির্ধারণ বৈঠক এবং রাজ্যপালের 'একতরফা' রিপোর্ট কার্ড চেয়ে পাঠানোর ক্ষেত্রে শিক্ষা দফতরকে যেন জানানো হয় ৷ আর তারই প্রতিবাদ জানিয়েছে ওই 12টি শিক্ষক সংগঠন ৷

আজ সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে এমনটাই জানিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন বা জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থ প্রতিম রায় ৷ জুটা ছাড়াও, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন কুটা, ওয়েবকুটা, আরবিইউটিএ, বুটা, ভুটা, কেইউটিসি, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন এবং ডায়মন্ডহারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন শিক্ষা দফতরের ওই নির্দেশিকার প্রতিবাদ করেছে ৷

শিক্ষক সংগঠনগুলি জানিয়েছে, "শাসকের বিরুদ্ধে শিক্ষাঙ্গনে পড়াশোনার বিশুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ পুনরুদ্ধারের জন্য আগামী 19 এপ্রিল রাজ্যের সকল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনগুলি প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে ৷ যেখানে সরকারের শিক্ষার পরিবেশকে নষ্ট করার বিরুদ্ধে সরব হবে এই সংগঠনগুলি ৷" রাজ্য সরকার এপ্রিল মাসের শুরুতে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে ৷ সেখানে রাজ্য সরকার পরিচালিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত সকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে তাদের ইসি মিটিং, সেনেট, সিন্ডিকেট বা কোর্টের মতো সমস্ত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে শিক্ষা দফতরকে সামিল করতে বলা হয়েছে ৷

প্রতিটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই স্বতন্ত্র কমিটিগুলিতে রাজ্য সরকারের এই হস্তক্ষেপ মানা হবে না বলে জানিয়েছে শিক্ষক সংগঠনগুলি ৷ উল্লেখ্য, এই হস্তক্ষেপের পিছনে রাজ্যের 31টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ইস্যু কাজ করছে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ তবে, এই মুহূর্তে রাজ্যের একত্রিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে ৷ শীর্ষ আদালত এনিয়ে রাজ্যপাল তথা আচার্য, রাজ্য সরকার ও ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন বা ইউজিসিকে তাদের নিজস্ব সার্চ কমিটি গঠন করতে বলেছে ৷ যে কমিটিগুলি উপাচার্যদের একটি তালিকা তৈরি করবে ও আদালতে জমা দেবে ৷ আর তারই মাঝে শিক্ষা দফতরের এই নির্দেশিকা ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে শিক্ষক সংগঠনগুলির মধ্যে ৷

আরও পড়ুন:

  1. উচ্চশিক্ষা দফতর বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক হিসাব আগে কখনও চেয়েছে ? জানতে চাইল রাজভবন
  2. কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনে আপত্তি শিক্ষা দফতরের, পাত্তা দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ
  3. রাজ্য সরকারের নির্দেশ অমান্য, রাজ্যপালের মত নিয়েই সিন্ডিকেট বৈঠক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.