কলকাতা, 13 এপ্রিল: পশ্চিমবঙ্গের 12টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন রাজ্য সরকার পরিচালিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল ৷ মূলত, রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এই শিক্ষক সংগঠনগুলি ৷ এর প্রধান কারণ, সম্প্রতি রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর একটি নির্দেশিকা জারি করেছে ৷ যেখানে বলা হয়েছে, যে কোনও নীতি নির্ধারণ বৈঠক এবং রাজ্যপালের 'একতরফা' রিপোর্ট কার্ড চেয়ে পাঠানোর ক্ষেত্রে শিক্ষা দফতরকে যেন জানানো হয় ৷ আর তারই প্রতিবাদ জানিয়েছে ওই 12টি শিক্ষক সংগঠন ৷
আজ সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে এমনটাই জানিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন বা জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থ প্রতিম রায় ৷ জুটা ছাড়াও, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন কুটা, ওয়েবকুটা, আরবিইউটিএ, বুটা, ভুটা, কেইউটিসি, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন এবং ডায়মন্ডহারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন শিক্ষা দফতরের ওই নির্দেশিকার প্রতিবাদ করেছে ৷
শিক্ষক সংগঠনগুলি জানিয়েছে, "শাসকের বিরুদ্ধে শিক্ষাঙ্গনে পড়াশোনার বিশুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ পুনরুদ্ধারের জন্য আগামী 19 এপ্রিল রাজ্যের সকল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনগুলি প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে ৷ যেখানে সরকারের শিক্ষার পরিবেশকে নষ্ট করার বিরুদ্ধে সরব হবে এই সংগঠনগুলি ৷" রাজ্য সরকার এপ্রিল মাসের শুরুতে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে ৷ সেখানে রাজ্য সরকার পরিচালিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত সকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে তাদের ইসি মিটিং, সেনেট, সিন্ডিকেট বা কোর্টের মতো সমস্ত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে শিক্ষা দফতরকে সামিল করতে বলা হয়েছে ৷
প্রতিটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই স্বতন্ত্র কমিটিগুলিতে রাজ্য সরকারের এই হস্তক্ষেপ মানা হবে না বলে জানিয়েছে শিক্ষক সংগঠনগুলি ৷ উল্লেখ্য, এই হস্তক্ষেপের পিছনে রাজ্যের 31টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ইস্যু কাজ করছে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ তবে, এই মুহূর্তে রাজ্যের একত্রিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে ৷ শীর্ষ আদালত এনিয়ে রাজ্যপাল তথা আচার্য, রাজ্য সরকার ও ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন বা ইউজিসিকে তাদের নিজস্ব সার্চ কমিটি গঠন করতে বলেছে ৷ যে কমিটিগুলি উপাচার্যদের একটি তালিকা তৈরি করবে ও আদালতে জমা দেবে ৷ আর তারই মাঝে শিক্ষা দফতরের এই নির্দেশিকা ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে শিক্ষক সংগঠনগুলির মধ্যে ৷
আরও পড়ুন: