মেজিয়া, 8 অগস্ট: ঘড়িতে তখন দুপুর প্রায় দেড়টা ৷ বৃহস্পতিবার মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চিৎকার শোনা যাচ্ছে ৷ 2 নম্বর ইউনিটে মেরামতির কাজ চলাকালীন আচমকাই ইলেকট্রিক ব্রেকার থেকে আগুনের হলকা বেরিয়ে আসে। সেই সময় সেখানে কাজ করছিলেন চারকর্মী-সহ এক ইঞ্জিনিয়ার ৷ আগুনে ঝলসে চিৎকার করতে থাকেন তাঁরা ৷ তড়িঘড়ি তাঁদের দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷
ডিভিসি পরিচালিত মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের 2 নম্বর ইউনিটে গত 1 তারিখ থেকে উৎপাদন বন্ধ রেখে রুটিন মেইনটেনেন্সের কাজ চলছিল। সূত্রের খবর, ওই ইউনিটেই এদিন কাজ চলাকালীন দুর্ঘটনাটি ঘটে ৷ ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া আহত চারজন ঠিকাকর্মী হিসাবে কাজ করতেন ৷ দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত 5 জনের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। এখনই তাঁদের সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে কয়েকজনের অবস্থা যে আশঙ্কাজনক, তা জানানো হয় হাসপাতাল সূত্রে।
কীভাবে ঘটল এই ঘটনা? ধারাবাহিক মেইনটেনেন্স-এর পরেও কেনই বা এই দুর্ঘটনা ঘটল? এ সমস্ত কিছু নিয়েই শ্রমিক সংগঠনগুলি ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। অতিবৃষ্টির কারণেই কি এই দুর্ঘটনা? এমন একটা সম্ভাবনার কথাও শোনা যাচ্ছে। তবে, তাপবিদ্যুৎ কারখানা কর্তৃপক্ষ এখনই এ বিষয়ে কিছু বলতে নারাজ। এই দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের বিভাগীয় তদন্ত হবে বলেও জানানো হয়েছে। এর আগে অর্থাৎ 2018 সালে মেজিয়ায় বৃষ্টির জেরে কমেছিল বিদ্যুৎ উৎপাদন।
টানা বৃষ্টিতে সেবার কয়লা খনিতে জল জমে যাওয়ায় খননের কাজ থমকে গিয়েছিল। আর কয়লা না-পেয়ে প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছিল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রও। জানা গিয়েছে, একটি-দু'টি নয়, প্রায় চারটি ইউনিট কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে পড়েছিল ৷