মালদা, 16 মে: বর্ষা শুরুর আগেই বজ্রপাতে জেলাজুড়ে 12 জনের মৃত্যু হল। বজ্রপাতে আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতদেহগুলি মালদা মেডিক্যালে নিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করে প্রশাসন। ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি নিহতদের পরিবার পিছু আর্থিক সাহায্যের ঘোষণাও করেছে প্রশাসন। দুপুরে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রপাত ও বৃষ্টি শুরু হয় জেলাজুড়ে। সেই সময় কেউ জমিতে কাজ করছিলেন। কেউ আবার বাগানে আম কুড়োতে গিয়েছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
জেলাশাসক নিতীন সিংহানিয়া বলেন, "প্রতিটি ব্লকে থেকে খোঁজ নেওয়ার কাজ চলছে৷ মৃত্যুর সংখ্যা এখনই সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়৷ এখনও খোঁজ আসছে৷ বিশেষ অনুমতি নিয়ে রাতেই আমরা মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করছি ৷ প্রত্যেক ব্লকের বিডিওরা পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করছেন ৷ আদর্শ আচরণ বিধি লাগু থাকলেও বিপর্যয়ের ঘটনায় আর্থিক সাহায্য দেওয়া যায় ৷ মৃতদের পরিবারকে 2 লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে ৷"
প্রথমে বজ্রপাতের জেরে বিভিন্ন এলাকায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে মৃতের সংখ্যা। প্রশাসন সূত্রে মৃতদের নাম ও পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। পুরাতন মালদা এলাকায় চন্দন সাহানি (40), রাজ মৃধা (16) ও মনোজিৎ মণ্ডল (21) নামে তিন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গাজোলের আদিনাতে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে অসিত সাহা (19) নামে একাদশ শ্রেণির ছাত্রের। ইংরেজবাজারের শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা পঙ্কজ মণ্ডল (28) ও সুইতারা বিবি (39) নামে এক মহিলার মৃত্যুর খবরও পাওয়া গিয়েছে।
এর পাশাপাশি মানিকচকের অতুল মণ্ডল, নয়ন মণ্ডল এবং শেখ সাবরুলেরও প্রাণ গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে রতুয়ার বাসিন্দা মিত্রা মণ্ডলের। হরিশ্চন্দ্রপুরের নয়ন রায় এবং প্রিয়াংকা সিনহা রায়েরও প্রাণ গিয়েছে ব্রজপাতে। মঞ্জিত মণ্ডল নামে এক যুবক বলেন, "আমাদের জমিতে ধান কাটা চলছে। মেঘ থাকায় ধান মারা হয়নি। হাতের কাজ সারার পর কয়েকজন গাছ তলায় বসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে বাজ পড়ে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।"
আরও পড়ুন: