কলকাতা, 3 সেপ্টেম্বর: সপাটে চড় খেলেন সন্দীপ ঘোষ ৷ আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তাঁকে তোলার সময়ই উঠেছিল 'চোর-চোর' স্লোগান ৷ তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীদের একাংশ ৷ এরপর বিচারক তাঁকে আটদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ার পর সন্দীপকে যখন আদালত থেকে বের করা হচ্ছে, তখন তাঁর গালে সপাটে চড় মারেন এক ব্যক্তি ৷ তবে চড়টি আইনজীবীরা মেরেছেন নাকি বাইরের কোনও ব্যক্তি মেরেছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয় ৷
আজ সন্ধে ছ'টার পর সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত থেকে বের করা হয় আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে । সিআরপিএফ জওয়ানরা তাঁকে ঘিরে ধরে বের করছিলেন আদালত থেকে । কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে আদালত চত্বর থেকে বের করে তাঁকে গাড়িতে ওঠানোর সময়, এক ব্যক্তি সন্দীপ ঘোষের গালে সপাটে একটি চড় বসিয়ে দেন । সন্দীপ ঘোষকে চড় মারার পরেই সিবিআই আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের তৎপরতায় কোনওরকমে সন্দীপকে গাড়িতে উঠিয়ে নেওয়া হয় ৷ এরপর তাঁকে নিয়ে আলিপুর আদালত ছাড়েন সিবিআই আধিকারিকরা ।
মঙ্গলবার যখন সন্দীপ ঘোষকে আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়, তখন আইনজীবীদের একাংশ তাঁকে ঘিরে ধরে স্লোগান দিতে থাকেন । স্লোগান ওঠে 'চোর-চোর'। এরপরেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জাওয়ানরা তাঁকে কোনও রকমে আদালতে ঢুকিয়ে দেন । সন্দীপ ঘোষ একটি মাস্ক পরে কাঠগড়ায় উঠলে তাই নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন আইনজীবীদের একাংশ ৷ তাঁরা দাবি জানাতে থাকেন সন্দীপকে মাস্ক খুলতে হবে । চাপে পড়ে অবশেষে সন্দীপ ঘোষ মুখের মাস্ক খুলে ফেলেন । এর পরে আদালত চত্বর থেকে বেরোনোর সময় তাঁর গালে সপাটে চড় বসালেন একজন ।
ইতিমধ্যেই আটদিনের সিবিআই হেফাজত হয়েছে সন্দীপ ঘোষের । সিবিআই মূলত সন্দীপ ঘোষকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে গিয়ে তাঁকে জেরা করবে । সিবিআই আধিকারিকরা সন্দীপ ঘোষের কাছ থেকে জানতে চাইবেন যে, আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডের ঘটনা কোথা থেকে শুরু হয়েছিল ?
এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলির সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা । গতকাল সন্ধ্যের পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে সন্দীপ ঘোষকে বাইরে বের করে গাড়িতে বসিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেসে । পরে তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ।