কলকাতা, 8 মার্চ: গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথমবার মুখ খুললেন শেখ শাহজাহান ৷ যাঁকে সন্দেশখালির ত্রাস হিসেবে চিহ্নিত করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ, সেই শাহজাহান শুক্রবার বললেন, "বিচারের আশায় আছি ৷" তবে অত্যন্ত নিচুস্বরে এই কথা বলেছেন তিনি ৷
এ দিন তাঁকে দক্ষিণ 24 পরগনার জোকায় ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে গিয়েছিল সিবিআই ৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে তাঁকে সেখানে প্রবেশ করানো হয় ৷ সেই সময়ই তিনি এই কথা বলেন ৷ তবে আর কোনও কথা তাঁকে বলতে দেওয়া হয়নি ৷ সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে ঢুকিয়ে দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ব্যুরোর আধিকারিকরা ।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করে শেখ শাহজাহানকে ৷ গভীর রাতে গ্রেফতারের পর বেলার দিকে তাঁকে পেশ করা হয় বসিরহাট মহকুমা আদালতে ৷ সেই সময় তিনি কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি ৷ বরং আঙুল তুলে জানিয়ে দেন যে তিনি কোনও প্রশ্নের উত্তর দেবেন না ৷
আদালত থেকে বের হওয়ার সময়ও তিনি চুপ ছিলেন ৷ সেদিন বসিরহাট আদালত থেকে তাঁকে সরাসরি ভবানীভবনে নিয়ে আসা হয় ৷ সিআইডি-র আধিকারিকরা যখন তাঁকে ভিতরে নিয়ে যাচ্ছে, সেই সময়ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা তাঁর উদ্দেশ্য়ে একাধিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন ৷ তখনও তিনি নীরব ছিলেন ৷
এর পর বুধবার সন্ধ্যায় ফের প্রকাশ্যে আসেন শেখ শাহজাহান ৷ প্রথমে সিআইডি তাঁকে নিয়ে যায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ৷ এর পর তাঁকে সিবিআই-এর হেফাজতে তুলে দেয় সিআইডি ৷ হেফাজতে পাওয়ার পর তাঁকে নিয়ে জোকার ইএসআই হাসপাতালে যায় সিবিআই ৷ সেই সময়ও তাঁকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু তিনি কোনও উত্তর দেননি ৷ তবে শুক্রবার হাসপাতালে প্রবেশের সময় তিনি প্রথমবার মুখ খুললেন ৷
গত কয়েক বছরে সিবিআই বা ইডির হাতে রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছেন ৷ তাঁদের মধ্য়ে শাসক দলের নেতার সংখ্যাই বেশি ৷ হাসপাতালে প্রবেশের সময় বা বের হওয়ার সময় তাঁদের নানা মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে ৷ কখনও তাঁদের কথায় ক্ষোভ ঝড়ে পড়েছেন ৷ কখনও আবার তাঁদের বক্তব্যে মিলেছে অভিমানের সুর ৷
এখন দেখার আগামিদিনে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হওয়া শেখ শাহজাহানও তেমন কিছু বলেন কি না !
আরও পড়ুন: