আসানসোল, 1 নভেম্বর: পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনে তৈরি হচ্ছে এলিভেটেড রেলওয়ে স্টেশন বা রেলওয়ে উড়ালপুল ৷ যেখানে বাইপাস লাইন হিসেবে একটি প্ল্যাটফর্মের উপরে তৈরি করা হবে আরেকটি প্ল্যাটফর্ম ৷ যেটি হচ্ছে আসানসোলের সীতারামপুর স্টেশনে ৷ রেলের এই প্রজেক্টের দায়িত্ব পেয়েছে আরভিএনএল ৷
সবচেয়ে কম 390.97 কোটি টাকার দরপত্রে এই প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে রেলের সংস্থা ৷ আসানসোল রেল ডিভিশনের সীতারামপুর স্টেশন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জাংশন ৷ কিন্তু, পাটনার দিকে যাওয়া ও গয়ার দিক থেকে আসার মাঝে একটি ক্রসিং রয়েছে ৷ এই ক্রসিংয়ে সবসময় যে কোনও একটি রুটের ট্রেনকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ৷ আর এর ফলে রাজধানী, দূরন্ত ও শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো ভিআইপি ট্রেনগুলির সময়সূচি ঘেঁটে যায় ৷
এর ফলে ট্রেনের দেরি হয় ও অপারেশনাল কাজ বিঘ্নিত হয় ৷ সেই সমস্যার সমাধানের জন্য সীতারামপুর স্টেশনের উপর দিয়ে একটি বাইপাস লাইন তৈরি করা হচ্ছে ৷ যেটি এলিভেটেড বা উড়ালপুলের উপর দিয়ে যাবে ৷ সেখানে সিঙ্গল প্ল্যাটফর্মও তৈরি করা হবে ৷ রেল বাজেটে এই প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যে বরাদ্দ পাশ করানো হয়েছে ৷ 24 মাসে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করবে রেলের সংস্থা আরভিএনএল ৷
উল্লেখ্য, আজ আসানসোল ডিভিশনের ডিআরএম চেতনানন্দ সিং-সহ রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং ইঞ্জিনিয়াররা সীতারামপুর স্টেশন ও লাইন পরিদর্শন করেন ৷ সেখানেই ডিআরএম জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের জন্য প্রায় 500 কোটি টাকা খরচ হবে ৷ উল্লেখ্য, রেলওয়ে উড়ালপুল ও প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি, সীতারামপুরের বর্তমান স্টেশন ও তার সংলগ্ন রেলের জমিতে আরও বিভিন্ন উন্নয়নের কাজও হবে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷ এর ফলে কর্মসংস্থান যেমন বাড়বে, পাশাপাশি, সীতারামপুরের সার্বিক উন্নয়নও হবে ৷ সেই সব মিলিয়ে প্রায় 500 কোটি টাকা খরচ হবে ৷ দ্রুত এই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷
ডিআরএম চেতনানন্দ সিং জানিয়েছেন, "বরাচক স্টেশন পেরিয়ে এই রেললাইন উঠবে এবং সীতারামপুর স্টেশন পার করে, ওয়েস্ট কেবিনের কাছে এই রেললাইন নামবে ৷ তার মাঝে পুরোটাই উড়ালপুলের উপর দিয়ে যাবে ৷ গয়া সেকশনের লাইনকে রেলওয়েল উড়ালপুলে তুলে দেওয়া হবে ৷ সীতারামপুর স্টেশনে পৃথক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে, বর্তমান প্লাটফর্মের উপরে ৷ এই প্রকল্প তৈরি করতে মোট 500 কোটি টাকা খরচ হবে ৷ এর পাশাপাশি, রেললাইনের সংখ্যাও বাড়ানো হবে ৷"
আসানসোল রেল ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক বিপ্লব বাউড়ি বলেন, "এই বাইপাস লাইন তৈরি হয়ে গেলে দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলে যে দেরি হয়, তা কমবে ৷ ইতিমধ্যে, এই কাজের দরপত্র হয়ে গিয়েছে ৷ চলতি আর্থিক বছরেই কাজ শুরু হয়ে যাবে ৷ কাজ শেষ হতে দু’বছর সময় লাগবে ৷"