ETV Bharat / state

'হিন্দুরা সর্বাধিক দায়িত্বশীল', ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক ভাগবতের - MOHAN BHAGWAT

বর্ধমানে সভা করতে এসে যোগ্য নেতা নির্বাচন-সহ সঙ্ঘের ভবিষ্যত চিন্তাভাবনা নিয়ে কথা বললেন আরএসএস প্রধান ৷ এখানেই তাঁর মন্তব্য় হিন্দুরাই সবচেয়ে বেশি দায়িত্বশীল সম্প্রদায়।

MOHAN BHAGWAT
বর্ধমানের সভায় আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 16, 2025, 7:26 PM IST

বর্ধমান, 16 ফেব্রুয়ারি: আবারও হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিলেন আরএসএস প্রধান। বর্ধমানের সভা থেকে রবিবার মোহন ভগবত বলেন, 'আমার কাছে অনেকেই জানতে চান, কেন আমরা শুধু হিন্দু সমাজের উপর মননিবেশ করি। আমরা উত্তর একটাই, হিন্দু সমাজ সবচেয়ে বেশি দায়িত্বশীল। যাঁরা আমাদের লক্ষ্য সম্পর্কে অবগত নন তাঁদের বলি, সঙ্ঘ হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে চায়। কারণ বাকিদের থেকে হিন্দুদের দায়িত্বজ্ঞান অনেক বেশি ।'

সভা থেকে অন্য একটি প্রসঙ্গে মোহন ভাগবত বলেন, "ভারতবর্ষ শুধু একটা ভূগোল নয়। ভারতবর্ষ নামটা কিন্তু 1947 সালের 15 অগস্ট হয়েছিল তেমনটাও নয় । অনেক প্রাচীন দেশ এই ভারতবর্ষ । যখন পৃথিবীর ইতিহাস লেখা শুরু হয় সেই সময়ও ভারতের ইতিহাস পাওয়া যায় । বিশ্বের বিবিধতাকে স্বীকার করেই চলেছে হিন্দুধর্ম । বিবিধতাই একতা এটা হিন্দুরা জানেন। আমরা লড়াই করব, আমরা ঝুঁকব না। "

তাঁর দাবি, "আমরা আকাশ-সমুদ্রে সব জায়গায় লড়াই করব । সমাজকে বদলাতে হবে। ভারত প্রাচীন একটা দেশ। এটা ব্রিটিশদের তৈরি দেশ নয় । ইংরেজ আসার আগে ভারত ছিল । হিন্দু সংস্কৃতি ছিল । ভারতে বিভিন্ন ভাষাভাষি মানুষ থাকলেও একতা আছে । মনে রাখতে হবে ভারতবর্ষ একটাই । হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করতে হবে। তবে ছোট খাটো সমস্যা থাকবেই । সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা কতটা তৈরি সেটা দেখতে হবে ।"

তাঁর কথায়, "ভারত সারা পৃথিবীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে । শত্রুর সঙ্গেও বন্ধুত্ব করতে সঙ্ঘই পারে। সঙ্ঘ সকলকে আহ্বান জানায় । ভয় পেয়ে পিছিয়ে গেলে চলবে না। সঙ্ঘকে বুঝতে গেলে সঙ্ঘে যোগ দিন। মন সায় দিলে আসবেন। কোনও টাকা-পয়সা লাগবে না । এখানে স্বার্থ রক্ষা হবে না । এখানে এলে কিছু পাওয়া যাবে না । দূর থেকে দেখলে হবে না । অনুভব করতে হবে । অনুমান করে কিছু হবে না । পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সংগঠন এটা । তবুও আমরা বাড়তে চাই। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে ।"

রাজনৈতিক মহলের মতে, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই আরএসএসের কর্মীরা ভোটের ময়দানে সক্রিয় ছিলেন। শুধু তাই নয়, হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে বিজেপির সাফল্যে আরএসএস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় বলেও মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশ। এবার এই রাজ্যের মানুষ যাতে বিজেপির উপরে ভরসা রাখতে পারেন সভা থেকে সেই বার্তাই দিলেন মোহন ভগবত ।

এর আগে সঙ্ঘ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেছেন, "সামাজিকভাবে সচেতন নাগরিকরাই পারেন একজন যোগ্য নেতাকে নির্বাচন করতে । তাই নাগরিক মননের বিকাশ হওয়া এবং তার মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ থাকা প্রয়োজন ।" গত সপ্তাহে দশদিনের বঙ্গ সফরে আসেন আরএসএসের প্রধান মোহন ভাগবত ।
আরএসএস সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরএসএসের সদস্যরা ময়দানে সক্রিয় ছিলেন। দিল্লির ভোট গণনার পরও সঙ্ঘ প্রধান নাগরিক সচেতনতা ও দায়বদ্ধতার কথা উল্লেখ করেন । তিনি বার্তা দেন একজন রাষ্ট্রনেতাকে নির্বাচন করতে হলে ভোটদাতাদের সার্বিক সচেতনতার প্রয়োজন। এই লক্ষ্য নিয়েই এই রাজ্যে এসেছেন তিনি । এদিন তিনি আরও একবার জানান, দেশের স্বার্থে হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।

দিল্লি জয়ের টোটকায় বাংলা দখলের ভাগবত-বার্তা

বর্ধমান, 16 ফেব্রুয়ারি: আবারও হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিলেন আরএসএস প্রধান। বর্ধমানের সভা থেকে রবিবার মোহন ভগবত বলেন, 'আমার কাছে অনেকেই জানতে চান, কেন আমরা শুধু হিন্দু সমাজের উপর মননিবেশ করি। আমরা উত্তর একটাই, হিন্দু সমাজ সবচেয়ে বেশি দায়িত্বশীল। যাঁরা আমাদের লক্ষ্য সম্পর্কে অবগত নন তাঁদের বলি, সঙ্ঘ হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে চায়। কারণ বাকিদের থেকে হিন্দুদের দায়িত্বজ্ঞান অনেক বেশি ।'

সভা থেকে অন্য একটি প্রসঙ্গে মোহন ভাগবত বলেন, "ভারতবর্ষ শুধু একটা ভূগোল নয়। ভারতবর্ষ নামটা কিন্তু 1947 সালের 15 অগস্ট হয়েছিল তেমনটাও নয় । অনেক প্রাচীন দেশ এই ভারতবর্ষ । যখন পৃথিবীর ইতিহাস লেখা শুরু হয় সেই সময়ও ভারতের ইতিহাস পাওয়া যায় । বিশ্বের বিবিধতাকে স্বীকার করেই চলেছে হিন্দুধর্ম । বিবিধতাই একতা এটা হিন্দুরা জানেন। আমরা লড়াই করব, আমরা ঝুঁকব না। "

তাঁর দাবি, "আমরা আকাশ-সমুদ্রে সব জায়গায় লড়াই করব । সমাজকে বদলাতে হবে। ভারত প্রাচীন একটা দেশ। এটা ব্রিটিশদের তৈরি দেশ নয় । ইংরেজ আসার আগে ভারত ছিল । হিন্দু সংস্কৃতি ছিল । ভারতে বিভিন্ন ভাষাভাষি মানুষ থাকলেও একতা আছে । মনে রাখতে হবে ভারতবর্ষ একটাই । হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করতে হবে। তবে ছোট খাটো সমস্যা থাকবেই । সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা কতটা তৈরি সেটা দেখতে হবে ।"

তাঁর কথায়, "ভারত সারা পৃথিবীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে । শত্রুর সঙ্গেও বন্ধুত্ব করতে সঙ্ঘই পারে। সঙ্ঘ সকলকে আহ্বান জানায় । ভয় পেয়ে পিছিয়ে গেলে চলবে না। সঙ্ঘকে বুঝতে গেলে সঙ্ঘে যোগ দিন। মন সায় দিলে আসবেন। কোনও টাকা-পয়সা লাগবে না । এখানে স্বার্থ রক্ষা হবে না । এখানে এলে কিছু পাওয়া যাবে না । দূর থেকে দেখলে হবে না । অনুভব করতে হবে । অনুমান করে কিছু হবে না । পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সংগঠন এটা । তবুও আমরা বাড়তে চাই। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে ।"

রাজনৈতিক মহলের মতে, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই আরএসএসের কর্মীরা ভোটের ময়দানে সক্রিয় ছিলেন। শুধু তাই নয়, হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে বিজেপির সাফল্যে আরএসএস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় বলেও মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশ। এবার এই রাজ্যের মানুষ যাতে বিজেপির উপরে ভরসা রাখতে পারেন সভা থেকে সেই বার্তাই দিলেন মোহন ভগবত ।

এর আগে সঙ্ঘ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেছেন, "সামাজিকভাবে সচেতন নাগরিকরাই পারেন একজন যোগ্য নেতাকে নির্বাচন করতে । তাই নাগরিক মননের বিকাশ হওয়া এবং তার মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ থাকা প্রয়োজন ।" গত সপ্তাহে দশদিনের বঙ্গ সফরে আসেন আরএসএসের প্রধান মোহন ভাগবত ।
আরএসএস সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরএসএসের সদস্যরা ময়দানে সক্রিয় ছিলেন। দিল্লির ভোট গণনার পরও সঙ্ঘ প্রধান নাগরিক সচেতনতা ও দায়বদ্ধতার কথা উল্লেখ করেন । তিনি বার্তা দেন একজন রাষ্ট্রনেতাকে নির্বাচন করতে হলে ভোটদাতাদের সার্বিক সচেতনতার প্রয়োজন। এই লক্ষ্য নিয়েই এই রাজ্যে এসেছেন তিনি । এদিন তিনি আরও একবার জানান, দেশের স্বার্থে হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।

দিল্লি জয়ের টোটকায় বাংলা দখলের ভাগবত-বার্তা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.