মালদা, 6 ফেব্রুয়ারি: একটি সোনার দোকানে ডাকাতির রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটি দোকানে ফের ডাকাতি ৷ সোমবার গভীর রাতে হবিবপুর থানার বুলবুলচণ্ডীতে 7-8 জনের সশস্ত্র ডাকাতদল ওই দোকানে অপারেশন চালায় ৷ প্রায় 45 মিনিটের অভিযানে ফাঁকা করে দিয়েছে গোটা দোকান ৷ ডাকাতির সময় এক স্থানীয় তাদের দেখে ফেলে ৷ তখন তাঁকে বেঁধেই নিজেদের কার্যসিদ্ধি করে দুষ্কৃতীরা ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হবিবপুর থানার পুলিশ ৷ এর আগের বছর 25 ডিসেম্বর মালদার চাঁচলে সোনার দোকানে ডাকাতি হয় ৷
ওই দোকানের মালিকের নাম টিংকু দাস ৷ বাড়ি হবিবপুর ব্লকেরই শালগমভিটা গ্রামে ৷ বুলবুলচণ্ডীর অরুণা মার্কেটে তাঁর দোকান ৷ দু’দিন আগে ব্যবসার কাজে কলকাতা গিয়েছিলেন তিনি ৷ সোমবার রাতে কলকাতা থেকে মালদায় ফেরার সময় তিনি এই খবর পান ৷
তিনি জানতে পারেন, রাত দেড়টা নাগাদ তাঁর দোকানে হানা দেয় 7-8 জনের সশস্ত্র ডাকাতদল ৷ এদিকে হবিবপুরের এক ব্যবসায়ী অরুণা মার্কেটে ডাকাতদলকে দেখে ফেলেন ৷ তাঁকে দেখে ফেলে দুষ্কৃতীরাও ৷ অপূর্বকে তারা বেঁধে লুঠপাট চালাতে থাকে ৷ দোকানের সিন্দুকও ভেঙে ফেলা হয় ৷ যাওয়ার সময় ডাকাতরা একটি বোমা ফাটিয়ে চলে যায় ৷ বোমার শব্দে লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ৷ বাঁধন খুলে অপূর্বকে মুক্ত করে হবিবপুর থানায় খবর দেওয়া হয় ৷ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ ৷
এদিকে মঙ্গলবার ভোরে মালদায় পৌঁছন দোকান মালিক টিংকু দাস ৷ তিনি বলেন, "আমি কলকাতা থেকে যখন বহরমপুর আসি, তখনই পুলিশ ফোন করে দোকানে ডাকাতির খবর দেয় ৷ আমার দোকানে 11টি তালা লাগানো থাকে ৷ আমি সোনার রেডিমেড গয়নার ব্যবসা করি ৷ দোকানে ক্রেতাদের মালও থাকে ৷ 15 কিলোরও বেশি রুপো ছিল ৷ তবে ঠিক কী পরিমাণ সোনার গয়না ছিল, তা খাতাপত্র খতিয়ে দেখেই বোঝা যাবে ৷" এদিকে হবিবপুর থানার এক আধিকারিক জানান, ঘটনায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে ৷ আপাতত ডাকাতদলকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে ৷ তদন্তের প্রয়োজনে অপূর্ব সরকারকেও জেরা করা হতে পারে ৷
আরও পড়ুন: