কলকাতা, 16 সেপ্টেম্বর: টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বাড়িতে কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা ৷ সোমবার দুপুরের দিকে কলকাতার সন্তোষপুরে অভিজিৎ মণ্ডলের বাড়িতে যান কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত নগরপাল (4) ভি সলেমননেশাকুমার, ডিসি (এসএসডি) বিদিশা কলিতা ও ডিসি (ইস্ট ডিভিশন) আরিশ বিলাল । সেখানে তাঁরা অভিজিৎ মণ্ডলের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন ৷
এ দিন সিবিআই তলব করেছিল অভিজিৎ মণ্ডলের স্ত্রীকে ৷ তিনি সেই তলব পেয়েও সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের অফিসে যাননি ৷ ফলে সেখানে অভিজিতের স্ত্রীর সঙ্গে পুলিশকর্তাদের কথা হয়েছে বলে খবর ৷
পরে বাইরে এসে কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত নগরপাল (4) ভি সলেমননেশাকুমার বলেন, ‘‘টালা থানার ওসি ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তের জন্য সব রকমের চেষ্টা করেছেন । দেহ উদ্ধারের পর যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব দায়িত্ব তিনি সামলেছেন । তিনি তাঁর একশো শতাংশ দিয়েছেন বলে আমি মনে করি । কলকাতা পুলিশ তাঁর পরিবারের পাশে রয়েছে । পরিবারও কলকাতা পুলিশের পাশে রয়েছে ৷’’
উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের মামলায় প্রমাণ লোপাট ও তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন টালার থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ৷ শনিবার দুপুরে তিনি সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই অফিসে হাজিরা দিতে যান ৷ সেদিনই রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই ৷ রবিবার শিয়ালদা আদালত তাঁকে তিনদিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছে ৷
অভিজিৎ মণ্ডল গ্রেফতার হতেই কলকাতা পুলিশের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে ৷ লালবাজার সূত্রে খবর, রবিবারই লালবাজারের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে নিচুতলার পুলিশের কর্মীদের একটি বৈঠক হয় । তাতে প্রশ্ন ওঠে যে এত বড় ঘটনা, যেখানে কলকাতার নগরপাল নিজেই তদন্তে নেমেছেন, সেখানে টালা থানার ওসিকে কেন গ্রেফতার করা হল ?
তার পরই সোমবার দেখা গেল যে লালবাজারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা হাজির হন সন্তোষপুরে অভিজিৎ মণ্ডলের বাড়িতে ৷ সূত্রের খবর, টালা থানার ওসির গ্রেফতারের পর যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে নিচুতলার পুলিশকর্মীদের মধ্যে ৷ সেই ক্ষোভের আঁচ কি অভিজিতের পরিবারেও ছড়িয়েছে, সেটাই খতিয়ে দেখতে কলকাতা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা সেখানে হাজির হন ৷