কলকাতা, 15 সেপ্টেম্বর: 35 দিনের টানা আন্দোলন ৷ আরজি কর কাণ্ডে কর্মবিরতিতে গিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা । বারবার ভেস্তে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মিটিং ৷ শনিবারও ছবিটা বদলায়নি ৷ কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ‘খালি হাতে’ বেরোনোর সময়ই কার্যত হতাশ তাঁরা ।
তারপরেই খবর আসে, সিবিআই’য়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল । সন্দীপের গ্রেফতারিকে ‘জয়’ হিসেবেই দেখছেন আন্দোলনকারীরা ৷ 35 দিন ধরে রোদ-ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আন্দোলন চালানোর পর অবশেষে সিবিআই’য়ের সদর্থক ভূমিকা দেখছেন তাঁরা ।
শনিবার রাতে কালীঘাট থেকে আন্দোলন মঞ্চে ফিরে আবেগে ভাসলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা । চোখে জল নিয়ে বিচারের দাবিতে স্লোগান তোলেন তাঁরা । একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন ৷ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি ‘আংশিক জয়’ হিসাবে দেখছেন । জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসির গ্রেফতারের খবরটা ওনারা পেয়েছিলেন । সেই কারণেই আর মিটিং করতে চাননি । এই সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার ওসির সুতো কোথায় বাঁধা ? আমাদের সমস্ত দাবি যে ন্যায্য, সেটা আজকে আবার প্রমাণ হয়ে গেল ।’’
অন্যদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকদের আগামী দিনের আন্দোলনের জন্য বার্তা দিলেন সিনিয়র চিকিৎসকেরা । ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস’-এর সদস্য চিকিৎসক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা যে কথাগুলি প্রথম থেকে বলছিলাম । যে চরিত্রগুলি নিয়ে আমাদের মধ্যে প্রশ্ন ছিল, একের পর এক তাঁরা গ্রেফতার হচ্ছেন । কিন্তু জানি না কেন হঠাৎ করে মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিব কোন অজ্ঞাত কারণে আলোচনার টেবিলে বসছেন না, তা পরিষ্কার নয় । মাননীয়া বলেছিলেন এটা শেষ চেষ্টা । আমরা বলব, সমাধান পর্যন্ত চেষ্টার শেষ নেই ।’’