কলকাতা, 30 অগস্ট: এবার প্রকাশ্যে এল আরজি কর মেডিক্যাল ও হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিনের ঘর ভাঙার পরামর্শ নোট ৷ যেখানে সই করেছেন স্বয়ং তৎকালীন আরজি কর হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ দত্তচৌধুরী। একটি সাদা কাগজে তিনি চেস্ট মেডিসিনের ঘরে সংস্কার কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। যা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক ৷ কী করে তদন্ত চলাকালীন ক্রাইম-স্পটের আশেপাশে সংস্কার কাজ শুরু হয় ? তাহলে আবারও সেই প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা ? যদিও এই কাগজের সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷
9 অগস্টের সকালে আরজি কর হাসপাতালের চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয় মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়ার দেহ ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে প্রথমে আত্মহত্যা বলা হলেও পরিবারের তরফে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে ৷ যে ঘরে চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুন করা হয় বলে অভিযোগ, তড়িঘড়ি তার পাশের ঘর ভাঙতে কেন উদ্যোগী হল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ! প্রশ্ন ওঠে হাসপাতালের অন্দরেই।
যা নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেই আন্দোলনের মাঝেই চলতি মাসের 10 তারিখ স্বাস্থ্যসচিব আরজি কর হাসপাতালে এসে বৈঠক করেছিলেন ৷ তৎকালীন আরজি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ মেডিক্যাল কলেজের অনান্য অধ্যাপক চিকিৎসকেরা যোগ দিয়েছিলেন বৈঠকে। এছাড়াও সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন পড়ুয়াদের প্রতিনিধিরা। বৈঠকে স্বাস্থ্যসচিব সমস্ত বিভাগের চিকিৎসকদের রেস্ট রুম, শৌচাগার-সহ বসার জন্য জায়গা দ্রুততার সঙ্গে তৈরি করার নির্দেশ দিয়ে যান।
চেস্ট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধানের সই করা কাগজ দেখে বোঝা যাচ্ছে, বৈঠকের পরই অর্থাৎ 10 তারিখেই সাইট ভিজিট হয়েছে ৷ শুধু তাই নয়, কাগজে লেখা রয়েছে, সাইট ভিজিটের জন্য সেই দিনই চেস্ট ডিপার্টমেন্টকে বেছে নিয়ে, সেখানে কোথায় কি তৈরি হবে, তাও চিহ্নিত করা হয়। যদিও এই কাগজে আরজি কর হাসপাতালের অফিসিয়াল কোনও স্ট্যাম্প নেই ৷ কিন্তু কাগজের একদম শেষে সই রয়েছে চেস্ট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ দত্তচৌধুরীর। অর্থাৎ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হচ্ছিল, কে বা কারা এটা করেছে, সেটা তাদের জানা নেই। কিন্তু, এই কাগজ থেকে পরিষ্কার ঘর ভাঙার বিষয়ে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ থেকে শুরু করে চেস্ট বিভাগের তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান-সহ পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারও অবগত ছিলেন ৷