শিলিগুড়ি, 5 ফেব্রুয়ারি: "প্রশ্নফাঁস বলে কিছু হয় না । যারা এসব করছে তাদের আমি গুরুত্ব দিই না। তবুও যেসব ছোটখাটো ঘটনা ঘটছে সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।" শিলিগুড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই মন্তব্য করলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় ।
সোমবার মাধ্যমিক পরীক্ষার তৃতীয় দিন । পরীক্ষার যাবতীয় হাল-হকিকত খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার হয়ে তিনি শিলিগুড়িতে পৌঁছন ।
শিলিগুড়ির নীলনলিনী বিদ্যাপীঠে মাধ্যমিক পরীক্ষার যাবতীয় ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন তিনি । এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "সব জায়গায় খুব ভালো পরীক্ষা চলছে । কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি । পাহাড়ে খুব ভালো পরীক্ষা হচ্ছে । রাজ্য সরকার ও শিক্ষা দফতর যে ভূমিকা পালন করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয় । আর যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রশ্নপত্র বিলি করার পর ছবি তুলে বাইরে বের করে, তাকে ফাঁস কী করে বলা যায় ! অতোগুলো কিউআর কোডের উপর কেউ রং বোলাচ্ছে সেটাকে ফাঁস বলা হবে কী করে ? আমরা চেষ্টা করছি যাতে এই ধরনের প্রবণতা কমে । কয়েকটা ওই ধরনের ঘটনাকে আমি কখনওই গুরুত্ব দেব না ।"
উল্লেখ্য, এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় অন্যতম বিষয় হল 'কিউআর কোড'। প্রত্যেকটা প্রশ্নপত্রে রয়েছে এই কিউআর কোড । যা স্ক্যান করলেই কোথা থেকে প্রশ্নফাঁস হয়েছে তা প্রকাশ্যে চলে আসবে । এই প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে দু'জন পরীক্ষার্থীকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ শনাক্ত করেছে । গত 2 তারিখ পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই মালদার একটি পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে দেখা যায়, মোবাইলের স্ক্রিনে চোখ রেখে উত্তর তৈরি করছেন অনেকে ৷ এরপরেই সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে সেই ছবি, দাবি করা হয়, মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে ৷ কিছু প্রশ্নপত্রও সোশাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে ৷
এই ছবি সমাজমাধ্যমে দেখার পরই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তৎপর ভূমিকা পালন করে । কিউআর কোড স্ক্যান করে কোনও পরীক্ষার্থী এই ছবি তুলেছে, তা বের করা হয়েছে । পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় সে দিন এ ব্যাপার নিয়ে বলেন, "পরীক্ষাকেন্দ্রে ওই দু'জন ছাত্র পরীক্ষা দিচ্ছিল । তাদের পরীক্ষা এ বছরের মতো বাতিল করা হয়েছে ৷"
আরও পড়ুন: