জলপাইগুড়ি, 11 জানুয়ারি: রাজগঞ্জ থানার সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ৷ ওই পুলিশ আধিকারিক রাজগঞ্জ থানা সংলগ্ন তাঁর ভাড়া বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে ৷ শুক্রবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটে ৷ তারপর মধ্যরাতে শিলিগুড়ি মহিলা থানায় নির্যাতিতা অভিযোগ জানান ৷ তিনি সেখানকারই বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে ৷
শিলিগুড়ি মহিলা থানা জিরো এফআইআর দায়ের করে, অভিযোগটি জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় ট্রান্সফার করা হয়েছে ৷ লিখিত অভিযোগের পরেই, জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের তরফে অভিযুক্ত এসআই-কে ক্লোজ করা হয়েছে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, জিরো এফআইআর সংক্রান্ত অভিযোগপত্র জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় আসার পর পরবর্তী পদক্ষেপ করা হচ্ছে ৷ মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা সম্ভব হবে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ৷ তবে, অভিযুক্ত এসআই-কে অভিযোগের ভিত্তিতে ক্লোজ করা হয়েছে ৷
অন্যদিকে, মহিলার আইনজীবী সন্দীপ মণ্ডল শিলিগুড়ি মহিলা থানার বিরুদ্ধে তাঁর মক্কেলকে হেনস্তার অভিযোগ করেছেন ৷ তিনি বলেন, "আমার মক্কেলের সঙ্গে একটা বাজে ঘটনা ঘটল, অথচ পুলিশ গুরুত্ব সহকারে দেখছে না ৷ কারণ, গতকাল একজন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন আমার মক্কেল ৷ আমার মক্কেলকে হেনস্তা করা হয়েছে ৷ তাঁর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৷" এ নিয়ে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারকে একটি লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগকারী মহিলার বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে শিলিগুড়ির বিভিন্ন থানায় ৷ সেই সব মামলাগুলির তদন্ত জারি রয়েছে ৷ এই বিষয়টি স্বাকীরও করেছেন নির্যাতিতার আইনজীবী ৷ তিনি বলেন, "আমার মক্কেল একটি প্লেসমেন্ট কোম্পানিতে কাজ করেন ৷ তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে ৷"
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগকারী মহিলা এর আগেও এক পুলিশ আধিকারিক এবং এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ৷ তবে, রাজগঞ্জ থানার এসআই-এর বিরুদ্ধে ধর্ষণের ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপারের অফিস থেকে দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷ অভিযুক্তকে ক্লোজ করেছেন পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে ৷ তিনি বলেন, "আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷" তবে, অভিযুক্ত এসআই-এর সঙ্গে ইটিভি ভারত ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ৷ কিন্তু, ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷