কলকাতা, 7 এপ্রিল: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত ৷ যা উত্তর বাংলাদেশ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করেছে ৷ ফলে প্রচুর পরিমাণে জোলো বাতাস ঢুকছে বঙ্গে। যার জেরে বুধবার পর্যন্ত অর্থাৎ 10 এপ্রিল পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে সন্ধ্যার দিকে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । এমনটাই পূর্বাভাস মিলেছে আলিপুর আবহাত্তয়া দফতর সূত্রে ৷ বৃষ্টির জেরে স্বস্তি ফিরবে দক্ষিণবঙ্গে ৷
দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি অব্যাহত । বৃষ্টির জেরে গরমের প্রভাব খুব একটা নেই। উপরের পাঁচটি জেলায় দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতি মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস । সব মিলিয়ে উত্তরবঙ্গবাসী বৃষ্টির হাত ধরে গরমের মধ্যেও কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের আবহ থাকলেও জোলো বাতাস ঢুকতে শুরু করেছে যা স্বস্তির পূর্বাভাস।
শনিবার সব থেকে বেশি গরম পড়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা । সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 41.9 ডিগ্রি সেলসিয়াস ৷ যা স্বাভাবিকের চেয়ে 5.7 ডিগ্রি বেশি । দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পানাগড়। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 41.7 ডিগ্রি সেলসিয়াস ৷ যা স্বাভাবিকের চেয়ে 5 ডিগ্রি বেশি । তৃতীয় স্থানে থাকা বাঁকুড়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 41.5 ডিগ্রি সেলসিয়াস ৷ যা স্বাভাবিকের চেয়ে 4.1 ডিগ্রি বেশি । এই তিনটি জেলাতেই ছিল তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি । সর্বোচ্চ তাপমাত্রার দৌড়ে বাদ যায়নি পুরুলিয়া ৷ এদিন সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল 40.7 ডিগ্রি সেলসিয়াস ৷ আসানসোলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 40.3 ডিগ্রি সেলসিয়াস ৷ ব্যারাকপুর ও বোলপুর এই দুই জায়গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 40 ডিগ্রি সেলসিয়াস ৷ শ্রীনিকেতনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 39.1 ডিগ্রি ৷ বর্ধমানে 39.5 ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কলকাতা এবং আশেপাশের অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 37.4 ডিগ্রি সেলিসিয়াস ৷ যা স্বাভাবিকের চেয়ে 2.2 ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 28.5 ডিগ্রি সেলসিয়াস ৷ যা স্বাভাবিকের চেয়ে 3.3 ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল 89 শতাংশ। আজ রবিবার দিনের আকাশ আংশিক মেঘলা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছ। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 36 ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন 28 ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে।
আরও পড়ুন: