ETV Bharat / state

'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি'তে 25 লক্ষ টাকা জয়, গ্রামের হিরো স্কুল ড্রপ-আউট মিন্টু - KAUN BANEGA CROREPATI

13 নভেম্বর মাকে নিয়ে মিন্টু পাড়ি দেন মুম্বইয়ে । বিগ-বি'র সামনে বসে মোট 13টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে জিতে নেন 25 লক্ষ টাকা ।

MINTU SARKAR wins KBC
কেবিসিতে খেলে গ্রামের নাম উজ্জ্বল করলেন মিন্টু সরকার (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 8, 2024, 9:45 PM IST

রায়গঞ্জ, 8 ডিসেম্বর: "এসব দেখে কী হবে ! ওখানে যেতে পারবি?", মা প্রশ্ন করেছিলেন ৷ মাকে নিয়েই সেই 'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি'তে কেবল গেলেন না ৷ বরং বিখ্যাত এই রিয়ালিটি শোতে 'বিগ বি'র মুখোমুখি হলেন। 25 লক্ষ টাকা জিতেও এলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের স্কুল ড্রপ-আউট 28 বছরের মিন্টু সরকার ৷

হট সিটে বসে অমিতাভ বচ্চনের সামনে 13টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েছেন তিনি ৷ পরিযায়ী শ্রমিক মিন্টুর প্রতিভায় অবাক গ্রামবাসী ৷ তাঁর সাফল্যে স্বভাবতই খুশি পরিবারও ৷ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, 'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি' দেখা নিয়ে মায়ের প্রশ্ন থেকেই জেদ চেপেছিল মিন্টুর । ভাবতেন তাঁকেও একদিন খেলতে দেখা যাবে ওই শোয়ে ৷ সেই স্বপ্নকেই সফল করে তুললেন ৷ এ যেন এক রূপকথার গল্প ৷

গ্রামের হিরো স্কুল ড্রপ-আউট মিন্টু (ইটিভি ভারত)

উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের 2 নম্বর জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জাওনিয়া এলাকার ডাঙ্গিপাড়া গ্রামের অত্যন্ত দুঃস্থ পরিবারের ছেলে মিন্টু সরকার । স্থানীয় মহারাজাহাট হাইস্কুলে পড়াশোনা করতেন। 2016 সালে ওই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষাও দেন। সেই পরীক্ষায় 40 শতাংশ নম্বর পান মিন্টু । তবে তারপরে আর পড়াশোনা করা হয়নি তাঁর । কাজ করতে চলে যান সুদূর পঞ্জাবে ।

মিন্টুর বাবা শিবু সরকার গ্রামেই একটি ছোট চায়ের দোকান ও 1 বিঘারও কম একটি জমিতে কাজ করে কোনওক্রমে সংসার চালাতেন । পরে বাবার শারীরিক অসুস্থতার কারণে সংসারের হাল ধরতে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ শুরু করেন মিন্টু । বাবার চিকিৎসার জন্য ওই স্বল্প জমিটুকুও বন্ধক রাখতে হয় । চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বাবা প্রয়াত হন । এরপর বাবার দোকানেই ব্যবসা শুরু করেন তিনি ৷

MINTU SARKAR wins KBC
বাবার দোকান চালিয়ে সংসারের হাল ধরেছেন মিন্টু (নিজস্ব ছবি)

তেমন পড়াশোনা না জানলেও মিন্টুর দেশ-বিদেশের নানান বিষয়ে জানার আগ্রহ প্রবল । এখন প্রায় সকলেরই হাতে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ৷ তাই ইন্টারনেটের মাধ্যমে সব খবর রাখেন মিন্টুও। বাবা থাকাকালীন তাঁকে সঙ্গে নিয়ে টিভিতে 'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি'ও দেখতেন এই যুবক । সেইসময় একদিন মা দেখন সরকার মিন্টুকে প্রশ্ন করেন, "এসব দেখে কী হবে, ওখানে যেতে পারবি?" মায়ের এই কথা শুনেই সেখানে যাওয়ার জেদ চাপে মিন্টুর । শুরু হয় প্রস্তুতি পর্ব ।

MINTU SARKAR wins KBC
মায়ের সঙ্গে জয়ের আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন যুবক (নিজস্ব ছবি)

ইউটিউবে ইউপিএস-সি লেভেলের শিক্ষামূলক ভিডিয়ো দেখতেন। নিয়মিত সংবাদপত্র পড়তেন মিন্টু। পাশাপাশি দেশ-বিদেশে নানান খবরে ক্রমশ আগ্রহ বাড়তে থাকে তাঁর। মোবাইল ঘেঁটেই সমস্তটা জানতে পেরে 'কেবিসি'-তে অ্যাপ্লাই করেন । বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার পরে অবশেষে নভেম্বর মাসে 'কেবিসি' থেকে ফোন আসে মিন্টুর কাছে । নভেম্বর মাসের 13 তারিখে মাকে নিয়ে মিন্টু পাড়ি দেন সুদূর মুম্বইয়ে । সেখানে প্রথমদিকে একটু ভয় পেলেও বিগ-বি'র সামনে বসে আত্মবিশ্বাস হারাননি প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে মিন্টু । মোট 13 টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তিনি জিতে নেন 25 লক্ষ টাকা ।

মিন্টু বলেন, "বাবা-মায়ের সঙ্গে বসেই কেবিসি দেখতাম । মা একদিন বলল, এই সব দেখে কী হবে? ওখানে যেতে পারবি? আমি বলেছিলাম চেষ্টা করলে পারব । সেই থেকেই মোবাইলে ওখানে কীভাবে যাওয়া যায় তা দেখা শুরু করি। গোটা বিষয়টা জানতে পারি । একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে অ্যাপ্লাই করি । প্রথমে দিল্লিতে একটি লিখিত পরীক্ষা হয় তাতে 25টি প্রশ্ন ছিল । সেখানে গোটা দেশের প্রায় 2000 জন ছিল । তার মধ্যে প্রায় 1000 জন পাশ করে ৷ সেই 1000 জনের মধ্যে আমিও ছিলাম । তারপর গ্রামে ফিরে আসি ।"

MINTU SARKAR wins KBC
টিনের চালের তলায় ছোট্ট সংসার মিন্টুর (নিজস্ব ছবি)

তাঁর কথায়, "প্রায় তিনি মাস পর কেবিসি থেকে ফোন আসে । 13 নভেম্বর আমি মাকে নিয়ে মুম্বই যাই । 19 তারিখে আমাদের শুটিং হয় । প্রথম দিকে ভয় লাগলেও অমিতাভ স্যারের সামনে যখন বসি তখন আর নার্ভাস ছিলাম না । খুব সুন্দর অভিজ্ঞতা । উনি বন্ধুর মতো গল্প করেছেন, মায়ের সঙ্গেও কথা বলেছেন । খুব ভালো লাগছে ।"

মিন্টু আরও বলেন, "বাবার শারীরিক অসুস্থতার কারণে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে চলে গিয়েছিলাম । বাবার চিকিৎসার জন্য 1 বিঘার কিছু কম জমি বন্ধক রেখে প্রথমে 65 হাজার ও পরে 34 হাজার টাকা নিয়ে ছিলাম । তাও বাবাকে বাঁচাতে পারিনি । কেবিসির টাকাটা পেলে বাবার স্মৃতি বিজরিত ওই জমিটা ছাড়াবো । "

মিন্টুর মা দেখন সরকার বলেন, "ছেলেটা সারাদিন মোবাইলে পড়াশুনা করত । সবাই ভাবত সারাদিন মোবাইল দেখে সময় কাটাচ্ছে। আমি তাদের বলতাম ছেলে পড়াশোনা করছে । আমায় বলেছিল, একদিন এই মোবাইলের মাধ্যমেই অর্থ উপার্জন করে আনবে । 'কেবিসি' খেলতে মুম্বই গিয়েছিল। সঙ্গে আমাকেও নিয়ে যায় । খুব ভালো লাগলো ওখানে গিয়ে ।"

তিনি আরও বলেন, "কেবিসির দর্শক আসনে বসে অপেক্ষা করছিলাম কখন আমার ছেলের নাম ডাকবে । ছেলের নাম শুনেই উঠে হাততালি দিতে শুরু করি । ছেলের এই সাফল্যে গর্ব হচ্ছে । আফসোস একটাই ওঁর বাবা বেঁচে থাকলে খুব ভালো হত । ছেলেটা ভালো থাকুক এটাই চাই । অমিতাভ বচ্চন আমার সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। আমি উত্তর দিতে পারিনি । ঘাবড়ে গিয়েছিলাম । তবে এক দুটো কথা বলেছি । ছেলের উপার্জিত এই টাকা দিয়ে বন্ধকে থাকা জমিটা ছাড়াবো, এটাই প্রথম লক্ষ্য ।"

আত্মীয় অনিলচন্দ্র সরকার বলেন, "মিন্টুকে দেখতাম মাঝে মধ্যেই মোবাইল নিয়ে বসে থাকতো । আমি বলতাম কী সারাদিন মোবাইল ঘাঁটাঘাটি করিস? ওঁআমাকে বলতো, তুমি বুঝবা না এটা ইন্টারন্যাশনাল ব্যাপার। ও এতদূর চলে যাবে ভাবতে পারিনি । ওর এই সাফল্যে আমরা খুব আনন্দিত ও গর্বিত ।"

রায়গঞ্জ, 8 ডিসেম্বর: "এসব দেখে কী হবে ! ওখানে যেতে পারবি?", মা প্রশ্ন করেছিলেন ৷ মাকে নিয়েই সেই 'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি'তে কেবল গেলেন না ৷ বরং বিখ্যাত এই রিয়ালিটি শোতে 'বিগ বি'র মুখোমুখি হলেন। 25 লক্ষ টাকা জিতেও এলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের স্কুল ড্রপ-আউট 28 বছরের মিন্টু সরকার ৷

হট সিটে বসে অমিতাভ বচ্চনের সামনে 13টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েছেন তিনি ৷ পরিযায়ী শ্রমিক মিন্টুর প্রতিভায় অবাক গ্রামবাসী ৷ তাঁর সাফল্যে স্বভাবতই খুশি পরিবারও ৷ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, 'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি' দেখা নিয়ে মায়ের প্রশ্ন থেকেই জেদ চেপেছিল মিন্টুর । ভাবতেন তাঁকেও একদিন খেলতে দেখা যাবে ওই শোয়ে ৷ সেই স্বপ্নকেই সফল করে তুললেন ৷ এ যেন এক রূপকথার গল্প ৷

গ্রামের হিরো স্কুল ড্রপ-আউট মিন্টু (ইটিভি ভারত)

উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের 2 নম্বর জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জাওনিয়া এলাকার ডাঙ্গিপাড়া গ্রামের অত্যন্ত দুঃস্থ পরিবারের ছেলে মিন্টু সরকার । স্থানীয় মহারাজাহাট হাইস্কুলে পড়াশোনা করতেন। 2016 সালে ওই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষাও দেন। সেই পরীক্ষায় 40 শতাংশ নম্বর পান মিন্টু । তবে তারপরে আর পড়াশোনা করা হয়নি তাঁর । কাজ করতে চলে যান সুদূর পঞ্জাবে ।

মিন্টুর বাবা শিবু সরকার গ্রামেই একটি ছোট চায়ের দোকান ও 1 বিঘারও কম একটি জমিতে কাজ করে কোনওক্রমে সংসার চালাতেন । পরে বাবার শারীরিক অসুস্থতার কারণে সংসারের হাল ধরতে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ শুরু করেন মিন্টু । বাবার চিকিৎসার জন্য ওই স্বল্প জমিটুকুও বন্ধক রাখতে হয় । চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বাবা প্রয়াত হন । এরপর বাবার দোকানেই ব্যবসা শুরু করেন তিনি ৷

MINTU SARKAR wins KBC
বাবার দোকান চালিয়ে সংসারের হাল ধরেছেন মিন্টু (নিজস্ব ছবি)

তেমন পড়াশোনা না জানলেও মিন্টুর দেশ-বিদেশের নানান বিষয়ে জানার আগ্রহ প্রবল । এখন প্রায় সকলেরই হাতে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ৷ তাই ইন্টারনেটের মাধ্যমে সব খবর রাখেন মিন্টুও। বাবা থাকাকালীন তাঁকে সঙ্গে নিয়ে টিভিতে 'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি'ও দেখতেন এই যুবক । সেইসময় একদিন মা দেখন সরকার মিন্টুকে প্রশ্ন করেন, "এসব দেখে কী হবে, ওখানে যেতে পারবি?" মায়ের এই কথা শুনেই সেখানে যাওয়ার জেদ চাপে মিন্টুর । শুরু হয় প্রস্তুতি পর্ব ।

MINTU SARKAR wins KBC
মায়ের সঙ্গে জয়ের আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন যুবক (নিজস্ব ছবি)

ইউটিউবে ইউপিএস-সি লেভেলের শিক্ষামূলক ভিডিয়ো দেখতেন। নিয়মিত সংবাদপত্র পড়তেন মিন্টু। পাশাপাশি দেশ-বিদেশে নানান খবরে ক্রমশ আগ্রহ বাড়তে থাকে তাঁর। মোবাইল ঘেঁটেই সমস্তটা জানতে পেরে 'কেবিসি'-তে অ্যাপ্লাই করেন । বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার পরে অবশেষে নভেম্বর মাসে 'কেবিসি' থেকে ফোন আসে মিন্টুর কাছে । নভেম্বর মাসের 13 তারিখে মাকে নিয়ে মিন্টু পাড়ি দেন সুদূর মুম্বইয়ে । সেখানে প্রথমদিকে একটু ভয় পেলেও বিগ-বি'র সামনে বসে আত্মবিশ্বাস হারাননি প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে মিন্টু । মোট 13 টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তিনি জিতে নেন 25 লক্ষ টাকা ।

মিন্টু বলেন, "বাবা-মায়ের সঙ্গে বসেই কেবিসি দেখতাম । মা একদিন বলল, এই সব দেখে কী হবে? ওখানে যেতে পারবি? আমি বলেছিলাম চেষ্টা করলে পারব । সেই থেকেই মোবাইলে ওখানে কীভাবে যাওয়া যায় তা দেখা শুরু করি। গোটা বিষয়টা জানতে পারি । একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে অ্যাপ্লাই করি । প্রথমে দিল্লিতে একটি লিখিত পরীক্ষা হয় তাতে 25টি প্রশ্ন ছিল । সেখানে গোটা দেশের প্রায় 2000 জন ছিল । তার মধ্যে প্রায় 1000 জন পাশ করে ৷ সেই 1000 জনের মধ্যে আমিও ছিলাম । তারপর গ্রামে ফিরে আসি ।"

MINTU SARKAR wins KBC
টিনের চালের তলায় ছোট্ট সংসার মিন্টুর (নিজস্ব ছবি)

তাঁর কথায়, "প্রায় তিনি মাস পর কেবিসি থেকে ফোন আসে । 13 নভেম্বর আমি মাকে নিয়ে মুম্বই যাই । 19 তারিখে আমাদের শুটিং হয় । প্রথম দিকে ভয় লাগলেও অমিতাভ স্যারের সামনে যখন বসি তখন আর নার্ভাস ছিলাম না । খুব সুন্দর অভিজ্ঞতা । উনি বন্ধুর মতো গল্প করেছেন, মায়ের সঙ্গেও কথা বলেছেন । খুব ভালো লাগছে ।"

মিন্টু আরও বলেন, "বাবার শারীরিক অসুস্থতার কারণে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে চলে গিয়েছিলাম । বাবার চিকিৎসার জন্য 1 বিঘার কিছু কম জমি বন্ধক রেখে প্রথমে 65 হাজার ও পরে 34 হাজার টাকা নিয়ে ছিলাম । তাও বাবাকে বাঁচাতে পারিনি । কেবিসির টাকাটা পেলে বাবার স্মৃতি বিজরিত ওই জমিটা ছাড়াবো । "

মিন্টুর মা দেখন সরকার বলেন, "ছেলেটা সারাদিন মোবাইলে পড়াশুনা করত । সবাই ভাবত সারাদিন মোবাইল দেখে সময় কাটাচ্ছে। আমি তাদের বলতাম ছেলে পড়াশোনা করছে । আমায় বলেছিল, একদিন এই মোবাইলের মাধ্যমেই অর্থ উপার্জন করে আনবে । 'কেবিসি' খেলতে মুম্বই গিয়েছিল। সঙ্গে আমাকেও নিয়ে যায় । খুব ভালো লাগলো ওখানে গিয়ে ।"

তিনি আরও বলেন, "কেবিসির দর্শক আসনে বসে অপেক্ষা করছিলাম কখন আমার ছেলের নাম ডাকবে । ছেলের নাম শুনেই উঠে হাততালি দিতে শুরু করি । ছেলের এই সাফল্যে গর্ব হচ্ছে । আফসোস একটাই ওঁর বাবা বেঁচে থাকলে খুব ভালো হত । ছেলেটা ভালো থাকুক এটাই চাই । অমিতাভ বচ্চন আমার সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। আমি উত্তর দিতে পারিনি । ঘাবড়ে গিয়েছিলাম । তবে এক দুটো কথা বলেছি । ছেলের উপার্জিত এই টাকা দিয়ে বন্ধকে থাকা জমিটা ছাড়াবো, এটাই প্রথম লক্ষ্য ।"

আত্মীয় অনিলচন্দ্র সরকার বলেন, "মিন্টুকে দেখতাম মাঝে মধ্যেই মোবাইল নিয়ে বসে থাকতো । আমি বলতাম কী সারাদিন মোবাইল ঘাঁটাঘাটি করিস? ওঁআমাকে বলতো, তুমি বুঝবা না এটা ইন্টারন্যাশনাল ব্যাপার। ও এতদূর চলে যাবে ভাবতে পারিনি । ওর এই সাফল্যে আমরা খুব আনন্দিত ও গর্বিত ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.