কলকাতা, 15 অগস্ট: স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে তাণ্ডব ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে আরজি কর হাসপাতালে ৷ বুধবার রাতের ওই ঘটনায় এবার প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালে পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে ৷ পাশাপাশি প্রশ্নের মুখে সিবিআইয়ের ভূমিকাও ।
কারণ ঘটনাস্থলের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে বর্তমানে রয়েছে পুলিশ । তবে বর্তমানে আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেছে সিবিআই । বিগত কিছু তদন্তে দেখা গিয়েছে, যেখানেই সিবিআই যায়, সেখানেই তারা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে যায় । আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মতো ঘটনার তদন্তে যে সংস্থা তারা কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে আগে থেকেই সুরক্ষিত করল না ঘটনাস্থল ? কেন আগে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে মোতায়েন করা হল না ?
আরজি কর-কাণ্ডে তদন্তভার সিবিআই গ্রহণ করলেও ঘটনাস্থলের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব বর্তায় স্থানীয় পুলিশের উপর । আর এখানেই হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রশ্ন, কীভাবে পুলিশের করা ব্যারিকেড একদল যুবক যুবতী সরিয়ে দিল এবং তারা কীভাবে হাসপাতালের ইমারজেন্সি ওয়ার্ডে ঢুকে দেদার ভাঙচুর চালাতে পারল ? কীভাবেই বা পুলিশের গাড়ি তারা উলটে ফেলে দিতে পারল ? এতে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে । পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে, পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করল না কেন ? কেন ঘটনাটি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার পর ঘটনাস্থলে নামানো হল র্যাফ?
বর্তমানে আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে সিবিআই তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করছে ৷ অনেকেরই এই বিষয়ে অভিযোগ, এ ক্ষেত্রে যেখান থেকে ওই ডাক্তারি পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল সেখানে প্রমাণ লোপাটের জন্যই গতকাল (বুধবার) রাতে এই হামলা করা হয়েছিল । তবে কে বা কারা এই তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য আচমকাই আরজি কর হাসপাতালে মধ্যে ঢুকে সেখানে ভাঙচুর চালাল সেই বিষয়টি এখনও কিছু স্পষ্ট নয় । আরজি করে হামলার ঘটনায় একাধিক প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা ৷ প্রশ্ন উঠছে, কেন এই ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ করার জন্য প্রথম দফায় কোন উচ্চপদস্থ পুলিশের আধিকারিক ময়দানে নামলেন না ।
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে যখন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচি জারি ছিল ঠিক সেই সময় আচমকাই আরজি কর হাসপাতালের ইমারজেন্সি ওয়ার্ডে ঢুকে পড়ে একদল যুবক যুবতী । সেখানে প্রতিবাদরত ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, তারা প্রত্যেকেই বহিরাগত । রাতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী । ইতিমধ্যেই রাতে পুলিশকর্মীরা সেখানে গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে । তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও কাউকে আরজি করে ভাঙচুরের ঘটনায় আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ ।