দুর্গাপুর, 23 সেপ্টেম্বর: আরজি কর-কাণ্ডের পর মহিলা সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ এই পরিস্থিতিতে মেয়েদের নিজেদের আত্মরক্ষার বিষয়টি স্কুলস্তর থেকে শুরু হওয়া উচিত, এমনটাই মনে করছেন সিবিএসই বোর্ডের অনুর্ধ্ব-19 বক্সিংয়ের কোচ এবং প্রতিযোগীরা ৷ সম্প্রতি দুর্গাপুরে শুরু হয়েছে, সিবিএসই-র পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বক্সিং প্রতিযোগিতা ৷ সেখানেই মেয়েদের সুরক্ষার প্রশ্ন স্কুল স্তরে বক্সিংয়ের মতো খেলাধূলাকে যুক্ত করার পক্ষে সওয়াল উঠেছে ৷
দুর্গাপুরে শুরু হওয়া পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি সিবিএসসি বোর্ডের স্কুলগুলিকে নিয়ে বক্সি প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে ৷ যেখানে অনুর্ধ্ব-14, অনুর্ধ্ব-17 ও অনুর্ধ্ব-19 এর প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছেন ৷ তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ জাতীয় স্তরে নিজস্ব বিভাগে সোনাও জিতেছে ৷ তবে, তারা সকলেই প্রশিক্ষিত এবং আগামী দিনে পেশাদার স্তরেও বক্সিং খেলতে পারেন ৷ কিন্তু, সাম্প্রতিক সময়ে আরজি কর ইস্যুতে মহিলা সুরক্ষা নিয়ে একটা প্রশ্ন উঠেছে ৷ সেই ইস্যুতে এবার সব স্কুলে মেয়েদের আত্মরক্ষার্থে বক্সিংয়ের মতো খেলাকে যুক্ত করার পক্ষে সওয়াল তুললেন প্রতিযোগী থেকে কোচ সকলেই ৷
তেমনই একজন হলেন সোনালী বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর জাতীয় স্তরের কোচিংয়ের অভিজ্ঞতাও রয়েছে ৷ তিনি বলেন, "সাম্প্রতিককালে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর সমস্ত স্কুলের উচিত তাদের ছাত্রীদের আত্মরক্ষার জন্য বক্সিং, ক্যারাটে ও জুডোর মতো খেলাধূলাকে আবশ্যিক করা ৷ এতে আত্মরক্ষার থেকে বেশি আত্মবিশ্বাস বাড়বে ৷ যেকোনও কঠিন পরিস্থিতিতে তারা নিজেরা মোকাবিলা করতে পারবে আত্মবিশ্বাসের কারণে ৷ আমার প্রশিক্ষণে থাকা ছাত্রীরা আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে পারদর্শী ৷ তারা একা 3-5 জনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে ৷
প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া সাহানা খাতুন ৷ সে জাতীয় স্তরেও বক্সিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে ৷ সাহানা ইটিভি ভারতকে বলে, "শুধু আমি বলে নয় ৷ সব মেয়ের নিজেদের আত্মরক্ষা করতে পারাটা জরুরি ৷ তাই বক্সিংয়ের মতো খেলাকে সব স্কুলেই বাধ্যতামূলক করা দরকার ৷ আর আমি নিজে 3-4 জনের বিরুদ্ধে লড়তে পারব, এই আত্মবিশ্বাস আমার আছে ৷"