কলকাতা, 29 এপ্রিল: কিউআর কোড ৷ কমবেশি সকল মানুষই এখন এই বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত। ডিজিটাল মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে ছোট মুদির দোকান থেকে শুরু করে বড় রেস্তরাঁ, প্রায় সব জায়গায় এখন ব্যবহার হয় এই কিউআর কোডের । তবে প্রথমবার এই নয়া প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে কলকাতার সরকারি বাংলা মিডিয়াম স্কুলে ৷
আর এই অভিনব ভাবনা নিয়েছে গড়িয়ার হরিমতী দেবী উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও যাদবপুর বিদ্যাপীঠও । এপ্রিল থেকেই কলকাতার এই দুটি স্কুলে শুরু হয়েছে পড়ুয়াদের জন্য কিউআর কোডের ব্যবহার ৷ পড়ুয়ারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা স্কুলে আসছে কি না, সে বিষয়ে কড়া নজরদারি করার জন্যই এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে । স্কুলের ছাত্রীদের আই-কার্ডের পিছনেই রয়েছে এই কিউআর কোড ।
কীভাবে কাজ করছে কিউআর কোড ?
কিউআর কোডটা স্ক্যান করে স্কুলে প্রবেশ করছে ছাত্রীরা । এরপর কিউআর কোডের মাধ্যমে অভিভাবকরা জানতে পারছেন কোথায় রয়েছে তাদের সন্তানরা । ছাত্রীরা স্কুলে পৌঁছে যখন কিউআর কোডটি স্ক্যান করাচ্ছে তৎক্ষণাৎ তার অভিভাবকের ফোনে চলে যাচ্ছে একটি এসএমএস । সেখানেই লেখা রয়েছে তার সন্তানের স্কুলের ঢোকার সময় । আবার স্কুল ছুটি হওয়ার সময়ও ৷ পাশাপাশি ছাত্রীদের স্কুল থেকে বেরোনোর সময়ও সোজা চলে যাচ্ছে অভিভাবকের মুঠোফোনে ।
কেন স্কুলে এই প্রযুক্তির ব্যবহার ?
এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পিয়ালী গোস্বামী বলেন, "এখন অনেক ছাত্রী একা স্কুলে আসে। সেখানে পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গিয়েছে যে ছাত্রীরা অনেক সময় বাড়ি থেকে স্কুলের নাম করে বোরোয়, তবে তারা স্কুলে আসে না ৷ বরং এদিক-ওদিক ঘুরে স্কুল ছুটির সময় অনুযায়ী আবার তারা বাড়ি ফিরে যায়। ছাত্রীদের স্কুল এটা ৷ তাই আমাদের নিরাপত্তার দিকটাও বেশি নজর রাখতে হবে। সেজন্যই আমরা এই কিউআর কোড ব্যবস্থা চালু করেছি ।"
কিউআর কোড নিয়ে কী বলছে ছাত্রীরা ?
জানা গিয়েছে, এই ব্যবস্থাপনা শুরু করার আগে অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলে নতুন এই ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছে অভিভাবকদের পাশাপাশি ছাত্রীরাও । নবম শ্রেণির ছাত্রী অদ্রিতা দাসের কথায়, "কিউআর কোডের ফলে আমাদের মা-বাবা জানতে পারছে আমরা কখন স্কুলে আসছি, কখন বেরোচ্ছি । স্কুলে ঢোকার সময় স্ক্যান করার জায়গাটাতে একটু ভিড় হয়, তবে ব্যবস্থাটা ভালোই হয়েছে ।" অন্যদিকে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর মা খুরশিদা বেগম বলেন, "আমার মেয়ে পুলকারে স্কুলে আসে । বাড়িতে বসে আমরা চিন্তায় থাকি যে মেয়ে স্কুলে পৌঁছল কি না, সেখানে দাঁড়িয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপ আমার বেশ ভালো লাগছে।"
আরও পড়ুন: