ETV Bharat / state

আরজি করে ধর্ষণ-খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়, সাজা ঘোষণা সোমবার - RG KAR RAPE AND MURDER VERDICT

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিল সঞ্জয় রায় ৷ ঘটনার প্রায় সাড়ে পাঁচমাস পর তার সাজা ঘোষণা হল ৷

RG KAR RAPE AND MURDER VERDICT
আরজি কর ধর্ষণ-খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়, সাজা ঘোষণা সোমবার (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 18, 2025, 2:33 PM IST

Updated : Jan 18, 2025, 3:42 PM IST

কলকাতা, 18 জানায়ারি: অবেশেষে বিচার মিলল আরজি করের নির্যাতিতার ৷ দোষী সাব্যস্ত হল সঞ্জয় রায় ৷ শনিবার শিয়ালদা আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ৷

ভারতীয় ন্যায় সংহিতার 64 (ধর্ষণ) নম্বর ধারা, 66 (ধর্ষণের পর মৃত্যু) নম্বর ধারা এবং 103 (1) (খুন) নম্বর ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সঞ্জয়কে । আদালত জানিয়েছে, সোমবার সাজা ঘোষণা করা হবে ৷

গত 9 জানুয়ারি শিয়ালদা আদালত জানিয়েছিল যে 18 জানুয়ারি অর্থাৎ আজ এই মামলার রায়দান করা হবে ৷ সেই মতো এদিন দুপুর আড়াইটা নাগাদ বিচারক এই মামলার রায় দেন ৷ বিচারক দোষী সাব্যস্ত করেন সঞ্জয় রায়কে ৷ বিচারক জানান, সোমবার সাজা ঘোষণা করা হবে ৷

সাধারণত, রায়দানের 24 ঘণ্টা পর সাজা ঘোষণা করে আদালত ৷ এক্ষেত্রে রায়দান ও সাজা ঘোষণার মধ্যে ফারাক হয়ে যাচ্ছে প্রায় 48 ঘণ্টা ৷ মাঝে রবিবার থাকায় এমন হচ্ছে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে ৷

উল্লেখ্য, গত বছরের 9 অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক চিকিৎসক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয় ৷ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলায় সেমিনার রুম থেকে ওই চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয় ৷ অভিযোগ ওঠে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই তরুণী চিকিৎসককে ৷

প্রাথমিকভাবে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ ৷ ঘটনাস্থলে যান স্বয়ং তৎকালীন নগরপাল বিনীত গোয়েল ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালে গিয়েছিলেন ৷ তিনি নিজেই ঘটনার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ার কথা বলেছিলেন ৷

কিন্তু শুরু থেকেই পুলিশি তদন্ত ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে ৷ প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতার মা-বাবা থেকে ওই হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ যদিও ঘটনার 24 ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয় ৷ মূলত, সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরেই তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ ৷

এর পর সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে ৷ আদালত সিবিআই-কেই মামলার দায়িত্বভার দেয় ৷ কলকাতা পুলিশের হাত থেকে সঞ্জয়কে হেফাজতে নেয় সিবিআই ৷ পরে এই মামলার চার্জশিট পেশ করে সিবিআই ৷ সেখানে সঞ্জয় রায়কেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয় ৷

সেই সঞ্জয় রায়কেই দোষী সাব্যস্ত করল শিয়ালদা আদালত ৷ সঞ্জয় এদিন আদালতের মধ্যে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে ৷ বিচারক জানিয়েছেন যে আগামী সোমবার সাজা ঘোষণার আগে তিনি সঞ্জয়ের সব বক্তব্য শুনবেন ৷

এদিকে এই মামলায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ ওঠে ৷ কিন্তু নির্ধারিত সময়ে চার্জশিট পেশ না হওয়ায় তাঁকে জামিন দিয়েছে আদালত ৷

ফলে তাঁদের কী হবে, তাঁদের বিরুদ্ধে কী চার্জশিট পেশ করা হবে, এছাড়া এই মামলার তদন্তের পরবর্তী অংশ কোন দিকে যাবে, সেই প্রশ্নগুলি রয়েছে ৷ তাছাড়া বারবার এই ঘটনায় অনেকের জড়িত থাকার দাবি করা হয়েছে, সেই দাবিগুলি কি সত্যি ? তদন্তে এই বিষয়গুলি নিয়ে কি কোনও তথ্য উঠে আসবে৷ সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য মেলেনি ৷

কিন্তু এদিন সিবিআইয়ের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠেছে যে এই তদন্তের কি আর কোনও অগ্রগতি হবে ? কারণ, এদিন বিচারক যখন রায় দিচ্ছেন, সেই সময় সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার ছিলেন না ৷

কলকাতা, 18 জানায়ারি: অবেশেষে বিচার মিলল আরজি করের নির্যাতিতার ৷ দোষী সাব্যস্ত হল সঞ্জয় রায় ৷ শনিবার শিয়ালদা আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ৷

ভারতীয় ন্যায় সংহিতার 64 (ধর্ষণ) নম্বর ধারা, 66 (ধর্ষণের পর মৃত্যু) নম্বর ধারা এবং 103 (1) (খুন) নম্বর ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সঞ্জয়কে । আদালত জানিয়েছে, সোমবার সাজা ঘোষণা করা হবে ৷

গত 9 জানুয়ারি শিয়ালদা আদালত জানিয়েছিল যে 18 জানুয়ারি অর্থাৎ আজ এই মামলার রায়দান করা হবে ৷ সেই মতো এদিন দুপুর আড়াইটা নাগাদ বিচারক এই মামলার রায় দেন ৷ বিচারক দোষী সাব্যস্ত করেন সঞ্জয় রায়কে ৷ বিচারক জানান, সোমবার সাজা ঘোষণা করা হবে ৷

সাধারণত, রায়দানের 24 ঘণ্টা পর সাজা ঘোষণা করে আদালত ৷ এক্ষেত্রে রায়দান ও সাজা ঘোষণার মধ্যে ফারাক হয়ে যাচ্ছে প্রায় 48 ঘণ্টা ৷ মাঝে রবিবার থাকায় এমন হচ্ছে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে ৷

উল্লেখ্য, গত বছরের 9 অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক চিকিৎসক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয় ৷ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলায় সেমিনার রুম থেকে ওই চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয় ৷ অভিযোগ ওঠে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই তরুণী চিকিৎসককে ৷

প্রাথমিকভাবে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ ৷ ঘটনাস্থলে যান স্বয়ং তৎকালীন নগরপাল বিনীত গোয়েল ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালে গিয়েছিলেন ৷ তিনি নিজেই ঘটনার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ার কথা বলেছিলেন ৷

কিন্তু শুরু থেকেই পুলিশি তদন্ত ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে ৷ প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতার মা-বাবা থেকে ওই হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ যদিও ঘটনার 24 ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয় ৷ মূলত, সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরেই তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ ৷

এর পর সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে ৷ আদালত সিবিআই-কেই মামলার দায়িত্বভার দেয় ৷ কলকাতা পুলিশের হাত থেকে সঞ্জয়কে হেফাজতে নেয় সিবিআই ৷ পরে এই মামলার চার্জশিট পেশ করে সিবিআই ৷ সেখানে সঞ্জয় রায়কেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয় ৷

সেই সঞ্জয় রায়কেই দোষী সাব্যস্ত করল শিয়ালদা আদালত ৷ সঞ্জয় এদিন আদালতের মধ্যে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে ৷ বিচারক জানিয়েছেন যে আগামী সোমবার সাজা ঘোষণার আগে তিনি সঞ্জয়ের সব বক্তব্য শুনবেন ৷

এদিকে এই মামলায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ ওঠে ৷ কিন্তু নির্ধারিত সময়ে চার্জশিট পেশ না হওয়ায় তাঁকে জামিন দিয়েছে আদালত ৷

ফলে তাঁদের কী হবে, তাঁদের বিরুদ্ধে কী চার্জশিট পেশ করা হবে, এছাড়া এই মামলার তদন্তের পরবর্তী অংশ কোন দিকে যাবে, সেই প্রশ্নগুলি রয়েছে ৷ তাছাড়া বারবার এই ঘটনায় অনেকের জড়িত থাকার দাবি করা হয়েছে, সেই দাবিগুলি কি সত্যি ? তদন্তে এই বিষয়গুলি নিয়ে কি কোনও তথ্য উঠে আসবে৷ সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য মেলেনি ৷

কিন্তু এদিন সিবিআইয়ের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠেছে যে এই তদন্তের কি আর কোনও অগ্রগতি হবে ? কারণ, এদিন বিচারক যখন রায় দিচ্ছেন, সেই সময় সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার ছিলেন না ৷

Last Updated : Jan 18, 2025, 3:42 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.