ETV Bharat / state

সাড়ে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ! জঙ্গলে ড্রোন চালিয়ে গ্রেফতার অভিযুক্ত - Minor Girl Child Rape

Minor Rape Accused Arrested: আরজি কর আবহে পুলিশি তৎপরতা নিয়ে যেখানে প্রশ্ন উঠেছে, সেখানে পুলিশের সক্রিয়তার ছবিটিও সামনে এল ৷ পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তকে ধরতে ড্রোনের সাহায্য নিল ৷

Minor Rape Case
জঙ্গল থেকে গ্রেফতার শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 7, 2024, 10:25 PM IST

কাটোয়া, 7 সেপ্টেম্বর: আরজি করে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে যতই আন্দোলন হোক, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে ৷ তবে অভিযুক্তকে খুঁজতে তৎপর পুলিশ এবার ড্রোনের সাহায্য নিল ৷ 24 ঘণ্টার মধ্যে অন্ধকার জঙ্গলের মধ্যে থেকে গ্রেফতার করা হল অভিযুক্তকে ৷

জানা গিয়েছে, ভুট্টা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে সাড়ে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ 42 বছর বয়সি অভিযুক্ত চরণ মাঝিকে ড্রোন দিয়ে খুঁজে গ্রেফতার করল কাটোয়া থানার পুলিশ ৷ শনিবার তাকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত ৷ কাটোয়ার আলমপুর পঞ্চায়েত এলাকার এই ঘটনার খবর জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

কী ঘটেছিল ?

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়ার বিকেহাট এলাকার বাসিন্দা ওই অভিযুক্ত ৷ বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে ঠেলাগাড়িতে সে ভুট্টা বিক্রি করত ৷ কাটোয়ার আলমপুর এলাকায় তার শ্বশুরবাড়ি ৷ তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ৷ শুক্রবার নির্যাতিত শিশুটি তার ঠাকুমার সঙ্গে রেশনের দোকানে যায় ৷ শিশুর ঠাকুমা, মা ও দাদু মাঠে কাজ করেন ৷ তাই রেশন নেওয়ার পরে তার ঠাকুমা মাঠে চলে যায় ৷ শিশুটির বাবা কলকাতায় মিষ্টির দোকানে কাজ করেন ৷ শিশুটি ভুট্টা খাওয়ার বায়না করলে তার ঠাকুমা ওই ভুট্টা বিক্রেতার কাছে তাকে রেখেই কাজে চলে যায় ৷

সেই সুযোগে ভুট্টা দেওয়ার নাম করে অভিযুক্ত শিশুটিকে ফুঁসলিয়ে বাড়ি নিয়ে যায় ৷ এরপর তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ৷ শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় চরণের বাড়ি থেকে বের হতে দেখে সন্দেহ হয় সবার ৷ তারা পুলিশকে খবর দেয় ৷ এদিকে সুযোগ বুঝে চরণ মাঝি পালিয়ে যায় ৷ রাতের অন্ধকারের মধ্যেও পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সার্চ লাইট দিয়ে চরণ মাঝিকে খুঁজতে শুরু করে ৷ এমনকী এলাকায় জঙ্গল থাকায় পুলিশ ড্রোন ব্যবহার করে ৷ রাত প্রায় একটা নাগাদ কাটোয়ার বিকেহাটের জঙ্গল থেকে চরণ মাঝিকে পুলিশ গ্রেফতার করে ৷

পুলিশের বক্তব্য

পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রাহুল পাণ্ডে বলেন, "ওই শিশুটি তার ঠাকুমার সঙ্গে রেশন দোকান থেকে ফিরছিল ৷ পথে সে ভুট্টা দেখতে পেয়ে ভুট্টা খেতে চায় ৷ অভিযুক্ত চরণ মাঝি ওই এলাকায় ভুট্টা বিক্রি করত ৷ শিশুটির ঠাকুমা তার কাছে শিশুটিকে রেখে মাঠে চলে যায় ৷ সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভুট্টা বিক্রেতা ওই শিশুর উপরে অত্যাচার করে ৷ এরপর সে পালিয়ে যায় ।"

পুলিশ সুপার জানান, বেশ কিছুক্ষণ সময় পেরিয়ে গেলেও শিশুটি বাড়ি না ফেরায় তার বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে ৷ শিশুটিকে না পেয়ে তারা ভুট্টা বিক্রেতার বাড়িতে যায় ৷ তারপর তারা শিশুটিকে দেখার পরে ঘটনার কথা জানতে পারে ৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় ৷

এদিকে ঘটনার পরে অভিযুক্ত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় ৷ কাটোয়া থানা ও আশেপাশের থানায় বিষয়টি জানানো হয় ৷ পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে ৷ জোরালো সার্চ লাইট তো ছিলই, এমনকী রাতে ড্রোনও ব্যবহার করা হয় ৷ কাটোয়া থেকে প্রায় সতেরো কিলোমিটার দূরে দাঁইহাট পুরসভা এলাকায় বিকেহাট এলাকার একটা জঙ্গল থেকে তাকে রাত প্রায় একটা নাগাদ গ্রেফতার করা হয় ৷ তাকে আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে ৷

কাটোয়া, 7 সেপ্টেম্বর: আরজি করে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে যতই আন্দোলন হোক, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে ৷ তবে অভিযুক্তকে খুঁজতে তৎপর পুলিশ এবার ড্রোনের সাহায্য নিল ৷ 24 ঘণ্টার মধ্যে অন্ধকার জঙ্গলের মধ্যে থেকে গ্রেফতার করা হল অভিযুক্তকে ৷

জানা গিয়েছে, ভুট্টা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে সাড়ে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ 42 বছর বয়সি অভিযুক্ত চরণ মাঝিকে ড্রোন দিয়ে খুঁজে গ্রেফতার করল কাটোয়া থানার পুলিশ ৷ শনিবার তাকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত ৷ কাটোয়ার আলমপুর পঞ্চায়েত এলাকার এই ঘটনার খবর জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

কী ঘটেছিল ?

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়ার বিকেহাট এলাকার বাসিন্দা ওই অভিযুক্ত ৷ বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে ঠেলাগাড়িতে সে ভুট্টা বিক্রি করত ৷ কাটোয়ার আলমপুর এলাকায় তার শ্বশুরবাড়ি ৷ তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ৷ শুক্রবার নির্যাতিত শিশুটি তার ঠাকুমার সঙ্গে রেশনের দোকানে যায় ৷ শিশুর ঠাকুমা, মা ও দাদু মাঠে কাজ করেন ৷ তাই রেশন নেওয়ার পরে তার ঠাকুমা মাঠে চলে যায় ৷ শিশুটির বাবা কলকাতায় মিষ্টির দোকানে কাজ করেন ৷ শিশুটি ভুট্টা খাওয়ার বায়না করলে তার ঠাকুমা ওই ভুট্টা বিক্রেতার কাছে তাকে রেখেই কাজে চলে যায় ৷

সেই সুযোগে ভুট্টা দেওয়ার নাম করে অভিযুক্ত শিশুটিকে ফুঁসলিয়ে বাড়ি নিয়ে যায় ৷ এরপর তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ৷ শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় চরণের বাড়ি থেকে বের হতে দেখে সন্দেহ হয় সবার ৷ তারা পুলিশকে খবর দেয় ৷ এদিকে সুযোগ বুঝে চরণ মাঝি পালিয়ে যায় ৷ রাতের অন্ধকারের মধ্যেও পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সার্চ লাইট দিয়ে চরণ মাঝিকে খুঁজতে শুরু করে ৷ এমনকী এলাকায় জঙ্গল থাকায় পুলিশ ড্রোন ব্যবহার করে ৷ রাত প্রায় একটা নাগাদ কাটোয়ার বিকেহাটের জঙ্গল থেকে চরণ মাঝিকে পুলিশ গ্রেফতার করে ৷

পুলিশের বক্তব্য

পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রাহুল পাণ্ডে বলেন, "ওই শিশুটি তার ঠাকুমার সঙ্গে রেশন দোকান থেকে ফিরছিল ৷ পথে সে ভুট্টা দেখতে পেয়ে ভুট্টা খেতে চায় ৷ অভিযুক্ত চরণ মাঝি ওই এলাকায় ভুট্টা বিক্রি করত ৷ শিশুটির ঠাকুমা তার কাছে শিশুটিকে রেখে মাঠে চলে যায় ৷ সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভুট্টা বিক্রেতা ওই শিশুর উপরে অত্যাচার করে ৷ এরপর সে পালিয়ে যায় ।"

পুলিশ সুপার জানান, বেশ কিছুক্ষণ সময় পেরিয়ে গেলেও শিশুটি বাড়ি না ফেরায় তার বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে ৷ শিশুটিকে না পেয়ে তারা ভুট্টা বিক্রেতার বাড়িতে যায় ৷ তারপর তারা শিশুটিকে দেখার পরে ঘটনার কথা জানতে পারে ৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় ৷

এদিকে ঘটনার পরে অভিযুক্ত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় ৷ কাটোয়া থানা ও আশেপাশের থানায় বিষয়টি জানানো হয় ৷ পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে ৷ জোরালো সার্চ লাইট তো ছিলই, এমনকী রাতে ড্রোনও ব্যবহার করা হয় ৷ কাটোয়া থেকে প্রায় সতেরো কিলোমিটার দূরে দাঁইহাট পুরসভা এলাকায় বিকেহাট এলাকার একটা জঙ্গল থেকে তাকে রাত প্রায় একটা নাগাদ গ্রেফতার করা হয় ৷ তাকে আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.