কলকাতা, 12 সেপ্টেম্বর: নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করার সময় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন মানুষের স্বার্থে তিনি পদত্যাগ পর্যন্ত করতে পারেন। এমনকি তার চোখে জল পর্যন্ত দেখা যায়। কিন্তু, সাধারণ মানুষ তাঁর এই মন্তব্যকে কীভাবে দেখছেন? তাদের কথায় মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা দিতে চাইলে দিতে পারেন। কিন্তু, অনেকেই মনে করছেন তিনি দেবেন না ইস্তফা।
মানুষের স্বার্থে পদত্যাগ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী? সে কথাই আজ নিজের মুখে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি তার চোখে দেখা যায় জলও। কিন্তু, সত্যি কী নমনীয় প্রশাসন? সেই প্রশ্ন তুললেন সাধারণ মানুষ। জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দেন বহু সাধারণ মানুষ। সেখানে যোগ দিয়ে সেই প্রশ্নই তোলেন তারা। আবার কারও মতে, "পদত্যাগ শুধুমাত্র ওনার মুখের কথা। "
বৃহস্পতিবার চিকিৎসকদের আন্দোলন মঞ্চে সামিল হন বিভিন্ন পেশার মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী কথার পর সাধারণ মানুষ বলেন, "উনি ওনার দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। তাই উনি পদত্যাগ করলে ভালো হয় । উনি একদম জানতেন না, সাধারণ মানুষ হিসাবে তা মানতে পারছি না।" অনেকে বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পাচ্ছেন। পরবর্তীকালে কিছু জিনিস কেটে কেটে উনি প্রকাশ করবেন। ওনার আসলে গদি ছাড়তে অনেক ভয়।"
প্রসঙ্গত, আন্দোলন চলছে জুনিয়র চিকিৎসকদের। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে 3 দিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। সেখানে সামিল হয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ। যত দিন এগোচ্ছে ততই বাড়ছে আন্দোলনের তেজ। এর মাঝেই মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে নবান্নের দুয়ারে যান জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধিরা । তবে দুই পক্ষ উপস্থিত হলেও সেখানে হয়নি বৈঠক। বরং, সাগবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী । সেখানেই একদম শেষে তিনি বলেন, "মানুষের স্বার্থে আমি পদত্যাগ পর্যন্ত করতে পারি।" যদিও, জুনিয়র চিকিৎসকরা আরজি কর কাণ্ডে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছেন না ৷ তাঁরা স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় থাকা দুর্নীতিগ্রস্থ শীর্ষকর্তাদের পদত্যাগ চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ৷