দুর্গাপুর, 4 জানুয়ারি: অন্ডালের উখড়ায় চিকিৎসায় গাফিলতির জেরে শিশুমৃত্যুর অভিযোগ ৷ তারপরই পরিস্থিতি রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ৷ আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী ৷ ঘটনার সূত্রপাত, পায়খানা-বমি করতে থাকা গোবিন্দ বাউরি নামের বছর ছয়ের ছেলে নিয়ে তার পরিবার চিকিৎসক রাজেশ মাঝির চেম্বারে যায় ৷ অভিযোগ, গোবিন্দকে 4টি ইনজেকশন দেওয়ার 10 মিনিটের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।
এরপরেই ওই ডাক্তারের চেম্বারে হুলস্থুল কাণ্ড ঘটে। ঘটনাস্থলে খবর পেয়ে তড়িঘড়ি আসে অন্ডাল থানার পুলিশ । উত্তেজিত জনতার ছোড়া ইটের আঘাতে অফিসার ইনচার্জ-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হন। কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে দাঁড়ায় উখড়া হাটতলা রোড। অভিযুক্ত, চিকিৎসককে উত্তেজিত জনতার রোষের হাত থেকে বাঁচাতে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।
6 বছরের মৃত গোবিন্দ জোয়াল ভাঙার বাসিন্দা ৷ উখরার মাধাইগঞ্জ রোডের পাশে চিকিৎসক রাজেশ মাঝির চেম্বার ৷ মৃতের পরিবারের সদস্যরা এবং উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দারা ডাক্তারের চেম্বারে ভাঙচুর চালায়। বাধা দিতে গেলে অন্ডাল থানার পুলিশের উপর ইট-পাটকেল ছুড়লে তাতে স্থানীয় বাসিন্দারাও আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এসিপি'র নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে তাঁদের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। যে ইনজেকশনগুলি গোবিন্দকে দেওয়া হয়েছে তাতে কী ছিল ? 4টি ইঞ্জেকশন মাত্র 6 বছরের অসুস্থ শিশুকে কেন দেওয়া হল ? প্রশ্ন তুলেছেন মৃত নাবালকের আত্মীয়রা।
মৃত গোবিন্দ বাউরির আত্মীয় কুমারডিহির বাসিন্দা রবিন বাউরির অভিযোগ, মাত্র 6 বছর বয়সি অসুস্থ গোবিন্দকে কী করে চিকিৎসক 4টি ইঞ্জেকশন দিল ? এত ইঞ্জেকশন নেওয়ার ক্ষমতা কি গোবিন্দর মধ্যে ছিল ? ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় গোবিন্দের মৃত্যু হল। পুলিশ ওই চিকিৎসককে নিয়ে চলে গেল।
ডাক্তারের শাস্তির দাবি করেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা ৷ বর্তমানে পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য এলাকায় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছে। আহত পুলিশকর্মীদেরকে চিকিৎসার জন্য দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷