কলকাতা, 6 জানুয়ারি: জটিলতা চলছিল বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ৷ গঙ্গাসাগর মেলার কারণে 11 জানুয়ারি বড় ম্যাচে পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না রাজ্যের তরফে ৷ অন্যদিকে হাইভোল্টেজ ম্য়াচের ভেন্যু বদলাতে রাজি ছিল না এফএসডিএল ৷ জল্পনার অবসান হল শেষমেশ। 11 জানুয়ারি আইএসএলের ফিরতি ডার্বি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে গুয়াহাটিতে।
মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট কর্তৃপক্ষ হাজারো প্রতিকূলতা সত্ত্বেও এ রাজ্যেই ডার্বি আয়োজনের চেষ্টা করেছিল ৷ ভাবা হয়েছিল কল্যাণীর কথাও ৷ কিন্তু ডার্বি হতে চলেছে ভিনরাজ্যেই ৷ ভিনরাজ্যের মধ্য়েও ছিল প্রতিযোগিতা ৷ ওড়িশা, দিল্লি, জামশেদপুর, গুয়াহাটি ছিল তালিকায় ৷ শেষমেশ গুয়াহাটিতেই পড়ল সিলমোহর ৷ নতুন বছরের শুরুতে ঘরের মাঠে জোড়া ম্য়াচ আয়োজন নিয়ে সমস্যা পড়েছিল সবুজ-মেরুন কর্তৃপক্ষ। 2 জানুয়ারি হায়দরাবাদ এফসি এবং 11 জানুয়ারি বড় ম্যাচ আয়োজনের জন্য পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে বেঁধেছিল সমস্য়া। হায়দরাবাদ ম্যাচের ব্যাপারে সবুজ সংকেত চলে এসেছিল পুলিশি তরফে। সেই ম্যাচ নির্ঝঞ্ঝাটে আয়োজনও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু জট বাঁধে ডার্বি আয়োজন ঘিরে।
রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস গত 30 ডিসেম্বর নব মহাকরণে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ডার্বি আয়োজনের জন্য পুলিশ দেওয়া সম্ভব নয়। ব্যাপারটি যে রাজ্য সরকার 25 দিন আগে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে জানিয়ে দিয়েছে, তাও স্পষ্ট করেন ক্রীড়ামন্ত্রী। তবে ম্য়াচ যে এ রাজ্যে হচ্ছে না, সে ব্য়াপারে কোনও নিশ্চিত বার্তা দেননি তিনি ৷ স্বাভাবিকভাবেই বাগান কর্তৃপক্ষের তরফে বড় ম্য়াচ পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি করা হয় আইএসএল আয়োজক এফএসডিএলের কাছে ৷ কিন্তু ডার্বি না-পিছনোর ব্যাপারে নাছোড় থাকে এফএসডিএল ৷
এরপর 11 জানুয়ারি রাজ্যেই ম্য়াচ আয়োজনের সব চেষ্টা করা হয়ে হোম টিম মোহনবাগানের তরফে ৷ দর্শকশূন্য স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে কল্যাণী স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেলানোর ভাবনা শুরু হয় ৷ কিন্তু কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি ৷ শেষ পর্যন্ত ভেন্যু হিসেবে গুয়াহাটির ইন্দিরা গান্ধি অ্যাথলেটিক স্টেডিয়ামকে বাছল সবুজ-মেরুন শিবির ৷