কোরবা, 7 জানুয়ারি: মেয়েদের জন্য নির্দিষ্ট সরকারি হস্টেলে সন্তানের জন্ম দিল একাদশ শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রী ৷ মঙ্গলবার ভোররাতে শিশু সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরপরই ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে সদ্যোজাতকে হস্টেলের বাইরে আবর্জনার মধ্যে ফেলে দিয়ে আসা হয় ৷ পরে ওই সদ্যোজাতকে উদ্ধার করে কোরবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ কিন্তু তার অবস্থা সঙ্কটজনক বলেই জানা গিয়েছে ৷
17 বছর বয়সি ওই কিশোরী একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ৷ সে মেয়েদের সরকারি হস্টেলে থেকেই পড়াশোনা করে ৷ নাবালিকার সন্তানের জন্ম দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাকে এবং সদ্যোজাতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছন জেলার শিক্ষা আধিকারিক ৷ এসডিএম আশ্বস্ত করেছেন যে, কালেক্টরের নির্দেশ এলে ঘটনার তদন্ত শুরু হবে ৷
জানা গিয়েছে, একাদশ শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রী ভোররাতে 2টো থেকে 2.30 মিনিটের মধ্যে শিশু সন্তানের জন্ম দিয়েছে ৷ এরপরই সদ্যোজাতকে আবর্জনার স্তূপে ফেলে দিয়ে আসা হয় ৷ কিন্তু সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই মা ও সন্তানকে লুকনোর চেষ্টা করা হয় ৷ কোরবা সরকারি হাসপাতালের কর্মীরা জানিয়েছেন, সদ্যোজাতের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক ৷ হাসপাতালে যখন তাকে আনা হয়, তখনই তার অবস্থার অবনতি হয়েছিল ৷ তার গায়ে ঘাস, শুকনো পাতা লেগেছিল ৷ এখন সে অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছে ৷
এদিকে শিক্ষা দফতরের আধিকারিক টিপি উপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই ঘটনাটি বিশদে জানতে তিনি হস্টেলের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন ৷ কোরবার সরকারি হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ রাকেশ বর্মা বলেন, "এখন সদ্যোজাতকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে ৷ দীর্ঘক্ষণ খোলা হাওয়ায় থাকার ফলে তার শরীর ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল ৷"
এসডিএম টিআর ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, নাবালিকার সন্তান জন্ম দেওয়ার খবরটি তিনি পেয়েছেন ৷ কালেক্টরও এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন ৷ জেলার শিক্ষা দফতরের আধিকারিক মা ও তার সন্তানকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন ৷ তদন্তের পর যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে ৷