বিজাপুর, 6 জানুয়ারি: ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে সিআরপিএফ জওয়ানদের গাড়িতে মাওবাদী হামলা ৷ সোমবার অতর্কিত হামলায় 9 জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন ৷ গুরুতর আহত আরও কয়েকজন ৷ এমনটাই জানিয়েছেন বস্তারের আইজি সুন্দররাজ পি ৷
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার বিজাপুরের কুটরু এলাকা দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীদের একটি কনভয় যাচ্ছিল ৷ সেই সময় জওয়ানদের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে লুকিয়ে থাকা মাওবাদীরা ৷ হামলায় দুমড়ে-মুচড়ে যায় জওয়ানদের গাড়িটি ৷ ঘটনায় 9 জন জওয়ান শহিদ হন ৷
উল্লেখ্য, ছত্তিশগড়ের দক্ষিণ আবুজমাদে শনিবার গভীর রাতে নিরাপত্তা বাহিনী ও মাওবাদীদের মধ্যে এনকাউন্টার শুরু হয় ৷ এনকাউন্টার চলাকালীন নিরাপত্তা বাহিনীর পোশাক পরিহিত 4 মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয় ৷ সোমবার সকালে এলাকায় তল্লাশি চালানোর সময় আরও এক মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করেন নিরাপত্তারক্ষীরা ৷ মৃতদের মধ্যে 2 জন মহিলাও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ৷ অন্য়দিকে, এই এনকাউন্টারে দান্তেওয়াড়া ডিআরজি-এর হেড কনস্টেবল শহিদ হন ৷
এনকাউন্টার প্রসঙ্গে বস্তারের আইজি সুন্দররাজ পি জানান, আবুজমাদের জঙ্গলে মাওবাদীদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয় ৷ শনিবার রাতে নারায়ণপুর, দান্তেওয়াড়া, জগদলপুর, কোন্ডাগাঁও জেলার ডিআরজি এবং এসটিএফ-এর একটি যৌথ বাহিনী মাওবাদী বিরোধী তল্লাশি অভিযানের জন্য আবুজহমাদ এলাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। এই সময় নিরাপত্তা বাহিনী ও মাওবাদীদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। এনকাউন্টারের পরে, তল্লাশি অভিযান চলাকালীন 4 জন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করেন নিরাপত্তারক্ষীরা ৷ ঘটনাস্থল থেকে AK 47, SLR-এর মতো স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে ।
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না-কাটতেই সোমবার সিআরপিএফ গাড়িতে হামলা চালাল মাওবাদীরা ৷ এই নিয়ে চলতি বছরে ছত্তিশগড়ে চতুর্থ মাওবাদী হামলা। এর আগে গত 3 জানুয়ারি গড়িয়াবন্দ জেলায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে এনকাউন্টারে 3 মাওবাদীর মৃত্যু হয় ।
প্রসঙ্গত, ছত্তিশগড়ের এই হামলা জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ের উপর হামলার স্মৃতি উস্কে দিল ৷ পুলওয়ামায় 2019 সালের 14 ফেব্রুয়ারি সিআরপিএফ কমভয়ের উপর হামলা চালায় পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ৷ হামলায় 40 জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন ৷