গঙ্গারামপুর, 02 সেপ্টেম্বর: বংশীহারী ব্লকের গাংগুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি গ্রামে নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডের ঘটনায় সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে 12 ঘণ্টার বন্ধের ডাক দিয়েছিল আদিবাসী সংগঠনের তরফে । তবে রবিবার আদিবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ প্রশাসনের কাছে বনধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। কিন্তু, আজ সকালে দৌলতপুর এলাকায় গঙ্গারামপুর থেকে কালনাগামী একটি সরকারি বাসে কয়েকজন বনধ সমর্থনকারী ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেন ৷
সরকারি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার জন্য উত্তেজনা ছাড়াই এলাকায় ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে হরিরামপুর থানার পুলিশ ও মেহেন্দি পাড়ার ট্রাফিক ওসি। বুনিয়াদপুর দমকল অফিসে খবর দেওয়া হয় ৷ দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিভিয়ে দেয় ৷ তবে আগুন সঙ্গে সঙ্গে চালক ও যাত্রীরা বাস থেকে নেমে পড়ায় কেউ আহত হয়নি ৷ ঘটনার ঘণ্টাখানেক পর বাস চলাচল স্বাভাবিক হয় ৷
এই বিষয়ে হরিরামপুর ট্রাফিক ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত অধিকারী জয়তল বিশ্বাস জানান, আর সকাল বেলা খবর আছে কর্তিপাড়ায় এলাকায় কিছু দুষ্কৃতী একটি সরকারি বাসে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে আমি ছুটে আসি ৷ দমকল বিভাগের একটি ইঞ্জিন আগুন আয়ত্তে নিয়ে আসে ৷
গত সপ্তাহে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টায় দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারীতে ব্য়াপক চাঞ্চল্য ছড়ায় । ওই নাবালিকা গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ তবে এই ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামে আদিবাসী সমাজ ৷ দু'দিন আগেই নির্যাতিতাকে হাসপাতালে দেখে আসেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ৷