জয়গাঁও (আলিপুরদুয়ার), 22 অক্টোবর: নাবালিকার পুড়ে যাওয়া দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল ভারত-ভূটান সীমান্তবর্তী শহর জয়গাঁও এলাকায় । তদন্তে পুলিশ । মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার জেলার সীমান্তবর্তী শহর জয়গাঁ এলাকার পরিত্যক্ত জমির ঝোপ থেকে এক নাবালিকার পোড়া দেহ উদ্ধার হয় ৷
জানা গিয়েছে, মৃত নাবালিকার বয়স সাত বছর ৷ গত আট দিন ধরে নিখোঁজ ছিল সে । স্থানীয়দের অভিযোগ, আট দিন আগে চাউমিন খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ওই এলাকার এক যুবক বাড়ি থেকে ওই নাবালিকাকে নিয়ে যায় । বেশ কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পরেও নাবালিকা বাড়ি না ফেরায় তার বাড়ির লোক এবং স্থানীয়রা মিলে খোঁজাখুঁজি শুরু করে ৷ কিন্তু কিছুতেই তার হদিশ পাওয়া যায়নি ৷ এরপর মঙ্গলবার নাবালিকার পুড়ে যাওয়া দেহ উদ্ধার হয় এক পরিত্যক্ত জমির ঝোপ থেকে ৷ এই ঘটনার পর থেকেই স্থানীয় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগে সরব হয়েছেন এলাকাবাসীরা । তাতেই তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়েছে গোটা এলাকায়।
আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মানবেন্দ্র দাস জানান, তদন্ত চলছে ৷ এই মুহূর্তে এই বিষয়ে কিছু বলা যাবে না ৷ আসামি ধরা পড়লে বিস্তারিত বলা যাবে । এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, "এর আগে এক দু'দিন অভিযুক্ত যুবককে আমরা ওই নাবালিকার বাড়িতে আসতে দেখেছি ৷ তবে যুবকটি নাবালিকার বাবার বন্ধু বলে আমরা কোনওরকম সন্দেহ করিনি ৷ কিন্তু সেদিন ওদের বাড়িতে গিয়ে ওই নাবালিকাকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে মোমো আর চাউমিন খাবে ৷ তখন তাকে চাউমিন খাওয়াতে নিয়ে যায় ওই যুবক ।"
এলাকার আরেক এক স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগ, এত বড় একটা ঘটনা ঘটেছে আজকে আট দিন হয়ে গেল ৷ কিন্তু প্রশাসন কোনও গুরুত্বই দিচ্ছেন না । ওই নাবালিকার বাবা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত ৷ উনি বাড়ি থেকে বেরোতে পারেন না ৷ মায়ের শরীরও ভালো নয় ৷ সাত বছরের ছোট্ট একটা বাচ্চা মেয়েকে এইভাবে মেরে পুড়িয়ে দিয়েছে । আমরা এটার ন্যায্য বিচার চাইছি।