সোনারপুর, 5 জুন: ভোটের ফলপ্রকাশের পরই খুন তৃণমূল নেতা । পিটিয়ে খুনের অভিযোগ প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য প্রসেনজিৎ সাহাকে । মঙ্গলবার সন্ধে নাগাদ সোনারপুর উত্তর বিধানসভার নরেন্দ্রপুর থানার খেয়াদহ 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের জেলেভেড়িতে এই ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরেই বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রসেনজিৎকে । তার পর রাস্তায় কোদালের বাঁট দিয়ে তাঁর মাথায় মারা হয় । তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন । ঘাতকরা এর পর পালিয়ে যায় । এলাকার মানুষ তাঁকে উদ্ধার করে বাইপাসের ধারে একটা হাসপাতালে নিয়ে যায় । সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।
খেয়াদহ 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য ছিলেন মৃত প্রসেনজিৎ সাহা । 2023 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট পাননি তিনি । অভিযোগের তির তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর দিকে ৷ এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায় । ঘটনার তদন্তে নেমে মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ ৷
স্থানীয় তৃণমূল নেতা আশিস হালদার বলেন, ‘‘গত 16 বছর ধরে আমরা একসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস করেছি ৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রসেনজিৎ সাহাকে টিকিট দেয়নি দল ৷ তার পরও আমরা দলের অনুগত সৈনিক হিসেবে কাজ করেছি ৷ দিদি জিতে যাওয়ায় আমরা খুশি হয়েছিলাম ৷ ইতিমধ্যে প্রসেনজিতের স্ত্রী আমাকে ফোন করেন ৷ জানান যে প্রসেনজিৎকে মারধর করা হয়েছে ৷’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রসেনজিৎকে বাঁশ-লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে মারধর করা হয় ৷ 40-50 জন মিলে মারধর করেছে ৷’’ আশিস হালদারের দাবি, অভিযুক্তরা গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে টিকিট পায় ৷ আগে তারা বিজেপি করত ৷ তারা আসার পর থেকে এলাকায় সন্ত্রাস বেড়েছে ৷ তাঁর দোকানেও দু’বার গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে ৷ নরেন্দ্রপুর থানায় বারবার জানানোর পরও কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ ৷